“৩ মাস পাহারা দেই আর শিক্ষকরা টাকা খেয়ে প্রশ্ন ফাঁস করেন”

শিক্ষকরাই প্রশ্ন ফাঁস করে বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, টাকা খেয়ে শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ এর উত্তর বলে দেন। টাকার বিনিময়ে শিক্ষকরা প্রশ্নফাঁস করে দেন। তারা শিক্ষক না; শিক্ষক জাতির কলঙ্ক!

শনিবার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগরীতে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি ও ফলাফল বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘তিন মাস পাহারা দিয়ে প্রশ্ন রেখে পরীক্ষার হলে পাঠাই, আর তারা (শিক্ষকরা) টাকা খেয়ে প্রশ্নফাঁস করে দেন। এমসিকিউ এর উত্তর বলে দেন।’

এসময় উপস্থিত শিক্ষকদের প্রশ্নফাঁসকারী শিক্ষকদের প্রতিহত করার পরামর্শ দেন তিনি। আগামী পরীক্ষা থেকে এমসিকিউ অংশে ১০ নম্বর কমিয়ে দেয়ার কথাও বলেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং টিকিউআই প্রকল্প আয়োজিত কর্মশালায় মাউশির মহাপরিচালক ড. এএসএম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন।

কর্মশালার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং ধারণাপত্র তুলে ধরেন টিকিউআই-২ প্রকল্পের উপ-পরিচালক রায়হানা তসলিম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক ড. মো. সেলিম মিয়া। আরো উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত শিক্ষাসচিব ড. মোল্লা জালালউদ্দিন এনডিসি, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমানসহ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই