গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান

৩ ব্লকের দায়িত্ব পেল কনোকো ফিলিপস ও স্টেটঅয়েল

দেশের গভীর সমুদ্রাঞ্চলের তিনটি (ডিএস-১২, ১৬ ও ২১) ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দায়িত্ব পেয়েছে বিদেশী প্রতিষ্ঠান কনোকো ফিলিপস ও স্টেটঅয়েল।

‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা’ কমিটির বৈঠকে বুধবার এ সংক্রান্ত প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের প্রস্তাবটি অনুমোদনের কথা জানান।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রস্তাব থেকে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ইতোমধ্যে যৌথভাবে কনোকো ফিলিপস এশিয়া প্যাসিফিক নিউ ভেঞ্চার ও স্টেটঅয়েল এএসএ’র সঙ্গে ‘উৎপাদন বণ্টনচুক্তি (পিএসসি)’ অনুস্বাক্ষর করেছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে সেই অনুস্বাক্ষর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

দেশের গভীর সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ‘মডেল পিএসসি ২০১২ (সংশোধিত)’ অনুসরণে ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড ২০১২’ এর আওতায় এ চুক্তি অনুস্বাক্ষর করা হয়েছে।

প্রস্তাবের সার-সংক্ষেপ থেকে আরো জানা গেছে—সংশোধিত মডেল পিএসসি ২০১২ অনুযায়ী, গভীর সমুদ্রাঞ্চলের ব্লক থেকে উত্তোলিত প্রতি ১ হাজার ঘনফুট গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ছয় ডলার এবং প্রতিবছর ২ শতাংশ হারে এর মূল্য বাড়বে।

যুগ্ম-সচিব বলেন, ‘সভায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ অনুযায়ী, হোটেল অবকাশের কাঁচামাল ক্রয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ এর আর্থিক সীমা শিথিল করাসহ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা একসঙ্গে ২৫ হাজার টাকার কেনাকাটা করতে পারত। বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে এ প্রস্তাব অনুমোদনের কারণে তারা নগদে ক্রয়ের ক্ষেত্রে একসঙ্গে এক লাখ টাকার ব্যয় করতে পারবে।’

এ ছাড়া বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলাধীন কুর্ণিবাড়ি-কুতুবপুর-চন্দনবাইশা-রহদহ-কামালপুর এলাকায় যমুনা নদীর ডান তীরে আট হাজার মিটার দীর্ঘ বিকল্প বাঁধ নির্মাণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে জামানত প্রদান থেকে অব্যাহতি দিয়ে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সভায় উপস্থাপন করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।

যুগ্ম-সচিব মোস্তফিজুর রহমান বলেন, ‘এ প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয় পর্যায়েই অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তাই এখানে এ প্রস্তাবটি অনুমোদন না দিয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে অনুমোদনের জন্য বলা হয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই