২ দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ে কাজ শুরু হবে

২৪১৫ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার

বাংলাদেশের কক্সবাজারে দুটি শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত বৈধ নাগরিকদের আগামী দুই মাসের মধ্যে ফিরিয়ের নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার।
প্রাথমিকভাবে তারা ২ হাজার ৪১৫ জনকে ফিরিয়ে নেবে। তবে ২০০৫ সালের নথিতে অবশ্যই বৈধ নাগরিক হিসেবে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
রোববার বিকেলে সচিবালয়ে মিয়ানমার উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী থান্ট কাইউর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কক্সবাজারের দুটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ২৩ হাজার মিয়ানমার নাগরিক রয়েছে।
সচিব বলেন, ‘যদিও এটা খুবই কম সংখ্যা। তারপরও এটাকে বড় অগ্রগতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে।’ আগামী দুই মাসের মধ্যেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান তিনি।
মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককে ফলপ্রসূ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়ার জন্য একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হবে।
চার ঘণ্টা দীর্ঘ বৈঠকে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানান সচিব।
সচিব আরো জানান, মিয়ানমার বন্দী বিনিময়ের প্রক্রিয়াও দ্রুত শুরু করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে ২০০ জন বাংলাদেশি জেলে বন্দী আছে। আর বাংলাদেশে মিয়ানমারের ১১০ জন নাগরিক বন্দী আছে।
এদিকে, সম্প্রতি মিয়ানমারের সর্বশেষ আদমশুমারির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যায়, দেশটির জনসংখ্যা ৯০ লাখ কমে গেছে।
মিয়ানমারে সর্বশেষ আদমশুমারি হয়েছিল ৩০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮৩ সালে। এর আগে দেশটির জনসংখ্যা ছয় কোটির মতো বলে ঘোষণা করে আসছিল সরকার। তবে গত মার্চ-এপ্রিলে করা আদমশুমারির প্রাথমিক ফলাফলে দেশের মোট জনসংখ্যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখে। অর্থাৎ দেশের জনসংখ্যার পরিাণ ৯০ লাখ কমে গেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আদমশুমারিতে রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগত পরিচয় উল্লেখ করার কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই