২ ‘জেএমবি’ সদস্যকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যায় জড়িত অভিযোগে দুই ‘জেএমবি’ সদস্যের ছবিসহ নাম ও পরিচয় প্রকাশ করে তাদের ধরিয়ে দিতে লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার দুটি জাতীয় দৈনিকে ‘এদের ধরিয়ে দিন’ শিরোনামে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)।

আরএমপি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে দুজনের ছবি প্রকাশ করে বলা হয়, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ এবং পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনারহার গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়া ওরফে মুন্নার ছেলে নজরুল ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান রাবি শিক্ষক রেজাউল হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট পলাতক আসামি। এদের সম্পর্কে তথ্যদাতাদের রাজশাহী মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। তবে তথ্যদাতার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরিফুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রায় এক বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। গত ৪ জুলাই শরিফুলের সন্ধান চেয়ে বাগমারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর বাবা। তবে নজরুলের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম বলেন, অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ডে পলাতক শরিফুল ও নজরুলের জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। অনেক চেষ্টার পরও তাঁদের পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তাঁদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে আরএমপি।

ইফতেখায়ের আলম জানান, শরিফুল ও নজরুল দুজনই জেএমবির সক্রিয় সদস্য। অধ্যাপক রেজাউল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার থাকা এক জেএমবি সদস্য রিমান্ডে তাঁদের সংশ্লিষ্টতার কথা জানান। পরে ওই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।

গত ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী মহানগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসার অদূরে রাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে ওই দিনই বোয়ালিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এঁদের মধ্যে রাবি শিক্ষার্থী হাফিজুর নামে এক শিবিরকর্মী কারা হেফাজতে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই