২৮৯ রানেই থেমে গেলো বাংলাদেশের ইনিংস

ভাঙাচোরা দল নিয়ে মানসিকভাবে পিছিয়ে থেকেই ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। অনভিজ্ঞ তরুণদের অভিষেক ঘটিয়ে সাজানো হয়েছেন একাদশ। ইনিংসের শুরুটা স্বপ্নের মতো না হলেও স্বপ্নটা দেখিয়েছিলেন সৌম্য সরকার আর সাকিব আল হাসান। কিন্তু সর্বোচ্চ স্কোরার সৌম্যর বিদায়ের পরই যেন মড়ক লাগল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। সাব্বির, মাহমুদ উল্লাহ কিংবা সাকিবরা ব্যটিংয়ে ব্যর্থ হওয়ায় ২৮৯ রানেই শেষ হলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। যদিও প্রথম দিনের খেলা আরও বাকী!

হ্যাগলি ওভালে শুক্রবার টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় নিউজিল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টায় দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল (৫) ও মাহমুদউল্লাহকে (১৯) হারায় বাংলাদেশ। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সৌম্য সরকার এবং সাকিব আল হাসান। দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে ১২৭ রানের জুটি গড়েন। ৫৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য সরকার। তার ১০৪ বলে ১১ বাউন্ডারিতে তার এই ইনিংসটি সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু ট্রেন্ট বোল্টের বলে গ্র্যান্ডহোমের হাতে ধরা পড়ে শেষ হয় ইনিংসটি।

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে অর্ধশতকে পৌঁছান সাকিব আল হাসান। ৬৫ বলে আটটি চারে টেস্টে বিশতম ৫০ স্পর্শ করেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। কিন্তু ৫৯ রান করে অদ্ভুত এক শট খেলত এগিয়ে টিম সাউদির বলে ওয়াটলিংয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি। দল তখন তাকিয়ে ছিল টেস্টে দারুণ পারফর্ম করা সাব্বির রহমানের দিকে। কিন্তু তিনিও হতাশ করেন। মাত্র ৭ রান করে সাউদির হাতে ধরা পড়ে বোল্টের তৃতীয় শিকার হন। ২ উইকেটে ১৬৪ থেকে হঠাৎ করেই ৫ উইকেটে ১৭৯ হয়ে যায় বাংলাদেশের স্কোর।

এই সময় দলের হাল ধরেন দুই অভিষিক্ত টিনেজার নুরুল হাসান সোহান এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। লড়াইটা বেশ ভালোই জমিয়েছিলেন দুজন। ১৪ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারানোর পর এই জুটিই বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছিল। দারুণ ব্যাট করে অর্ধশত রানের জুটি গড়ে ফেলেন। জুটিতে ৫৩ রান আসার পরই টিম সাউদির বলে জিত রাভালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৫৬ বলে ১৮ রান করেন।

শান্তর বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে ‘ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা’ বজায় রেখে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকেই সাড়া জাগানো এই অলরাউন্ডার বোলিংটা এখনও ধরে রাখলেও ব্যাটিংটা যাচ্ছেতাই করছেন। আজ যখন ১০ রান করে ওয়াগনারের বলে বাজেভাবে বোল্ড হয়ে গেলেন তখন তার নামের পাশে এটাই সর্বোচ্চ রান হিসেবে লেখা হয়ে গেল! এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট যেতে যেতে ২৮৯ রানে থামে বাংলাদেশ। ২১ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৬ রান করে অপরাজিত রইলেন রুবেল হোসেন। সবাই মিলে এদিন ব্যাট করতে পারল মাত্র ৮৪.৩ ওভার!



মন্তব্য চালু নেই