২১৭ রানে ফিরলেন সাকিব

বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা ৩০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ স্কোর: বাংলাদেশ ৫৪২/৬। ব্যাট করছেন সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আউট হয়ে ফিরে গেছেন সাকিব আল হাসান ২১৭ ও মুশফিক ১৫৯। মুমিনুল ৬৪, মাহমুদউল্লাহ ২৬, তামিম ৫৬ ও ইমরুল ১ রান।

২১৭ রান করে আউট সাকিব: রেকর্ডের জন্ম দিয়ে অবশেষে সাজঘরে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২১৭ রান করে নেইল ওয়াগনারের বলে বোল্ড হন সাকিব। এর আগে ওয়ানগারের বলেই দুটি জীবন পান তিনি। ২৭৬ বল মোকাবেলা করে ৩১ টি চারের সাহায্যে এ ইনিংস সাজান বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।

১৫৯ করে ফিরলেন মুশফিক: সাকিবের পর ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্নে বিভোর ছিলেন মুশফিকও। ধীরে সুস্থে সে পথেই এগোচ্ছিন টাইগার দলপতি। কিন্তু ইনিংসের ১২৬তম ওভারের পঞ্চম বলে বোল্ডের শিকার হতে তাকে। বোল্টের বলে ওয়াটলিংয়ের হাতে তালুবন্দি হওয়ার আগে ১৫৯ রান করেন মুশফিক। ২৬০ বলে ২৩ চার ও ১ ছক্কায় এ ইনিংসটি সাজান মুশফিক।

সাকিবের ডাবল সেঞ্চুরি: ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সাকিব আল হাসান। ডাবল সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে টেস্টে এবার বাংলাদেশের তামিম এবং মুশফিকদের কাতারে এসে দাড়ালেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।

২০০ রানের মাইলফলকে পৌছতে ২৫৪ বল মোকাবেলা করেন সাকিব। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরে ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌছেন তিনি। অসাধারণ এ ইনিংস খেলার পথে ৩০টি চারের মার মারেন সাকিব আল হাসান।

তৃতীয় জীবন পেলেন সাকিব: বলতে গেলে ওয়েলিংটনে দিনটা সাকিবেরই। আগের দুইবারের পর নতুন একটি জীবন পেলেন সাকিব। ১২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্টের বল ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে লাফিয়ে পড়ে বল হাতে নিলেও শেষপর্যন্ত তা শূন্যে রাখতে পারেননি টেইলর। ওই সময় ১৮৯ রানে অপরাজিত সাকিব।

সাকিবের পর মুশফিকের ১৫০: সাকিব আল হাসানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমান তাল এগোচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। ২২০ বল মোকাবেলা করে দোড়শো পূরণ করছেন তিনি। ১৫০ রানের ইনিংস খেলার পথে ২২টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন মুশফিক। এখন সাকিবসহ মুশফিকের কাছেও ডাবল সেঞ্চুরির প্রত্যাশা থাকবে টাইগার সমর্থকদের।

সাকিবের ১৫০: টেস্ট ক্যারিয়ারে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস ছাড়িয়ে গেলেন সাকিব আল হাসান। ২০১১ সালের মার্চে ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৪৪ রান করেছিলেন সাকিব। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে আজ নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন দেশসেরা অলরাউন্ডার। ইনিংসের ১০৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইলিয়ামসনের বলে ২ রান নিয়ে দেড়শো রান করেন সাকিব। দেড়শো রানের ইনিংস খেলার পথে ১৯৪ বল মোকাবেলায় ২২টি চারের মার মারেন সাকিব।

আবারও বেঁচে গেলেন সাকিব: ব্যক্তিগত সংগ্রহ মাত্র ৪ রানের মাথায় একবার জীবন পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। নেইল ওয়াগনারের বলে ক্যাচ তুলে দিলেও তা তালুবন্দি করতে পারেননি স্যান্টনার। এই লাইফ পেয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। এরপর ইনিংসের ১০৫তম ওভারের প্রথম বলেই আবারও আউটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল সাকিবের। সেই ওয়াগনারের বল ব্যাটের কোনা ছুঁলেও তা ঠিকমতো তালুবন্দি করতে পারেননি উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিং। রিপ্লেতে দেখা যায় বল ক্যাচ নেওয়ার আগেই মাটি স্পর্শ করেছে। এবার দেখা যাক নতুন করে পাওয়া এই লাইফ নিয়ে ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান কিনা সাকিব।

৪০০ ছাড়িয়ে বাংলাদেশ: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের অপ্রতিরোধ্য আড়াইশো রানের জুটিতে ভর করে দলীয় সংগ্রহ ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। এই দুই তারকার ব্যাটে চড়ে প্রথম ইনিংসেই রান পাহাড় গড়ার স্বপ্ন দেখছে টাইগাররা।

১২৩ মিনিটে ১২২ রান: অসাধারণ একটি সেশন শেষ করল বাংলাদেশ। লাঞ্চ থেকে টি-ব্রেক পর্যন্ত ১২২ রান তুলেছেন করছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুই জনই পেয়েছেন নিজেদের চতুর্থ শতক। এই সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি বাংলোদেশ।

মুশফিকের চতুর্থ সেঞ্চুরি: ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটি মুশফিকের প্রথম সেঞ্চুরি। ইনজুরি থেকে ফিরে ব্যাট হাতে দূর্বার মুশফিক। সাদা পোশাকে অনেকটা ওয়ানডে স্ট্যাইলে ব্যাটিং করেছেন উইকেট রক্ষক এ ব্যাটসম্যান। ১৭৯ বলে ১৭ বাউন্ডারিতে শতরানের দেখা পান মুশফিক।

সাকিবের সেঞ্চুরি: ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটি সাকিবের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এবং নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টানা দ্বিতীয়। এর আগে ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সাকিব প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রান করেন। শুক্রবার নেইল ওয়েগনার বল স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ করেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। ১৫০ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে শতরানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন সাকিব।

বড় পুঁজির পথে বাংলাদেশ: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় পুঁজির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের দারুণ ব্যাটিংয়ে তিনশ রান পেরিয়েছে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে এ জুটির সংগ্রহ ১৪৩ রান। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৪০৮। ২০১০ সালে হ্যামিলটনে এ রান করেছিল টাইগাররা।

সাকিবের ৩০০০: তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব আল হাসান টেস্ট ক্রিকেটে তিন হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭১ রানের ইনিংস খেলার পথে সাকিব এ মাইলফলক অতিক্রম করেন। এর আগে হাবিবুল বাশার সুমন ও তামিম ইকবাল বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে তিন হাজার রান পূর্ণ করেন। ২৯২৯ রান নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামেন সাকিব।

প্রথম সেশন: সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটি ছিল বাংলাদেশের। ১ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অপরাজিত থাকেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। মুমিনুল হক দিনের শুরুতেই ৬৪ রানে সাজঘরে ফিরেন। টিম সাউদির বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন মুমিনুল।

ফিরে এসে মুশফিকের হাফ-সেঞ্চুরি: ইনজুরি থেকে ফিরে এসে ব্যাট হাতে দূত্যি ছড়ান মুশফিকুর রহিম। টাইগার অধিনায়ক তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফ-সেঞ্চুরি। নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্ট্যানারের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান টাইগার দলপতি। ১০২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে মুশফিক হাফ–সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজান।

সাকিবের হাফ-সেঞ্চুরি: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ২০তম হাফ-সেঞ্চুরি এটি। টিম সাউদির বলে দারুণ এক স্ট্রেইট ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকান সাকিব। ওই বাউন্ডারিতে ৪৯ থেকে ৫৩ রানে পৌঁছান বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। ৮৬ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজান সাকিব।

কোনো রান না করেই মুমিনুল সাজঘরে: প্রথম দিন ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল হক। আশা জাগিয়েছিলেন, ১১তম হাফসেঞ্চুরিকে রূপ দিবেন সেঞ্চুরিতে। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই হতাশ করেন ‘মিনি’। টিম সাউদির অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংকে সহজ ক্যাচ দেন মুমিনুল। দ্বিতীয় দিন কোনো রান পাননি বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। ১১৬ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৬৪ রান করেন তিনি।

প্রথম দিন: ওয়েলিংটনে বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতায় প্রথম দিনের খেলায় বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে। মাত্র ৪০.২ ওভার খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ৫ ও মুমিনুল হক ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। চতুর্থ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ৯ রান।

সাজঘরে ইমরুল, তামিম ও মাহমুদউল্লাহ: ব্যর্থতার বৃত্তে আটকা পড়েছেন ইমরুল কায়েস। ইনিংসের শুরুতেই বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেন ইমরুল। টিম সাউদির বলে পুল করতে গিয়ে লং লেগে ক্যাচ দেন ইমরুল (১)। তামিম ৫০ বলে ৫৬ রান করে ফিরেন বোল্টের বলে। প্রথম দিনের শেষ প্রান্তে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আউট করেন ওয়াগনার। ২৬ রান আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে।

তামিম, মুমিনুলের হাফ-সেঞ্চুরি: আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে তামিম ইকবাল নিজের ২০তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মাত্র ৪৮ বলে। সে সময়ে বাংলাদেশের রান ছিল ১ উইকেটে ৫৬। তামিমের পর হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান মুমিনুল হকও। ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বরাবরই দূর্বার মুমিনুল। ক্যারিয়ারের ১১তম হাফ-সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।



মন্তব্য চালু নেই