২০ দলে ফাটল?

চলমান আন্দোলনে ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ অনেকটাই শিথিল হয়ে পড়েছে। আর সে কারণে জোটের ছোট ছোট দলগুলো নিজেদের জানান দিতে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে পৃথকভাবে বিবৃতি পাঠাচ্ছে। তাও আবার জোটভুক্ত দলগুলোর কয়েকজন পৃথক জোট হয়ে।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে এলডিপি, বিজেপি, কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ ও লেবার পার্টির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠানো হয়। এলডিপি যুগ্ম-মহাসচিব সেলিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে দাবি করে এই ৫ দলের পক্ষে বিবৃতিটি পাঠান ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চলমান শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্থিমিত করতে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দায়েরের অংশ হিসেবে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে ২০ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত ৫ দলের মহাসচিবরা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান এবং ইতোমধ্যে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।’

অপরদিকে আজ বুধবারই বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল-মেহেদী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মুফতী মুহিউদ্দিন ইকরাম স্বাক্ষরিত পৃথক বিবৃতি পাঠানো হয়।

এতে নেতারা বলেন, ‘পৃথিবীতে কোনো স্বৈরশাসক গ্রেপ্তার-নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান ফ্যাসীবাদী ও অনৈতিক সরকারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনে সাধারণ মানুষ আজ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে সরকার জনবিছিন্ন হয়ে পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বিশেষ বাহিনীতে পরিনত করছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকার দেশটাকে একটা পুলিশী রাষ্ট্রে পরিনত করছে। দেশ, গণতন্ত্র আর দেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকায় সরকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বেপরোয়া সরকার সারা দেশে হত্যা-গুম, গ্রেপ্তার-নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার ষড়যন্ত্র করছে। এভাবে সরকার তার শেষ রক্ষা করতে পারবে না, গণআন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন হবে। সরকারকে মনে রাখতে হবে আন্দোলনের আগুন জ্বলে উঠছে, সে আগুন সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে চরম মাসুল দিতে হবে।’

এর আগেও ৫ দল এবং ৬ দলের সমন্বয়ে দু’টি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না। তাই যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি তাদের নিয়েই বিবৃতি দিচ্ছি।’



মন্তব্য চালু নেই