২০৩০ সালের আগে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বোঝা যাবে না

পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেছেন, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ২০৩০ সালের আগে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তেমন বোঝা যাবে না।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় এ টেল ফ্রম ক্লাইমেট গ্রাউন্ড জিরো নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, সম্প্রতি যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে তা দেখে বিশ্বনেতাদের টনক নড়া উচিত ছিল। কারণ, ২০৩০ সালের পর বৈশ্বিক উষ্ণতা যদি ৪ থেকে সাড়ে ৪ ডিগ্রি বেড়ে যায় তাহলে এর প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে। এটাকে ২ ডিগ্রিতে নামিয়ে আনতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি গ্রিনহাউসে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে হবে। কারণ এ সম্পর্কে বিশ্ববাসী উদ্বিগ্ন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের নির্দিষ্ট রুল নেই। কী পরিমাণ ক্ষতির জন্য কতটুকু ক্ষতিপূরণ চাইতে হবে তারও কোনো সীমা নেই। তবে আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, এ ধারা অব্যাহত থাকলে বৈশ্বিক উঞ্চতায় অনেক পরিবর্তন আসবে। এই জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নেতারা একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিক রহমান বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা ধরে রাখতে যে পরিমাণ সাহায্য এদেশে আসে, তার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। যাতে টাকা এ দেশে আসার পর আর ফেরত না যায়।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন, ইকুইটিবিডির প্রতিনিধি রেজাউল করিম চৌধুরীসহ আরো অনেকে।



মন্তব্য চালু নেই