২০১৮ সালের পর গ্যাস সংকট থাকবে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০১৮ সালের পর দেশে গ্যাসের কোনো সংকট থাকবে না। তখন ব্যবসায়ীরা চাহিদামাফিক গ্যাস পাবেন।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে ২০১৩ সালের জন্য রপ্তানিকারকদের সিআইপি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় ২০১৩ সালের জন্য মোট ১৪টি পণ্য খাতের ১২৫ জনকে এ বছর সিআইপি কার্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া পদাধিকার বলে এই কার্ড পেয়েছেন ৩৯ জন ব্যবসায়ী নেতা।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েকটি বিদেশি কোম্পানিকে গ্যাস উত্তোলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি ২০১৮ সালের মধ্যে গ্যাসের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ভোলায় কয়েকটি নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের অনুসন্ধান পাওয়া গেছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের এসব গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের জন্য বিনিয়োগ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, প্রচলিত পণ্যের পাশাপাশি সরকার অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। প্লাস্টিক, আইটি ও ওষুধ রপ্তানির ওপর নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ২০২১ সাল নাগাদ এই তিনটি পণ্যের প্রত্যেকটি থেকে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পোশাক আমদানিকারক কয়েকটি দেশের সমালোচনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশ বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন আছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সেসব দেশে শতভাগ ট্রেড ইউনিয়ন নেই। বড় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীন ও ভিয়েতনামে ট্রেড ইউনিয়ন নেই, অথচ সেখানে তারা কোনো প্রশ্ন করছে না। কারোর কোনো চাপে বাংলাদেশ মাথা নোয়াবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ রপ্তানিকারকদের জন্য দেশে শিল্প ও বিনিয়োগ সহায়ক অবকাঠামো নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান বেগম মাফরূহা সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।



মন্তব্য চালু নেই