১ টি মাত্র মশলা ব্যবহারে দ্রুত কমবে দেহের মেদ!

দেহের মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। যারা একটু ভারী স্বাস্থ্যের তারা তো বটেই যারা শুকনো ধরণের তারাও যাতে মোটা না হয়ে যান সেজন্য চিন্তা করতে থাকেন। দেহে মেদ জমলে দেখতে যেমন বিশ্রী লাগে তেমনই তা স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। তাই এই মেদ দূর করার জন্য অনেকেই অনেক ধরণের চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু খুব সহজ সমাধান আপনার হাতের কাছেই রয়েছে। জানতে চান সেই সমাধান? চলুন জেনে নেয়া যাক।

মাত্র একটি মশলার ব্যবহার খাবারে নিয়মিত করতে পারলে দেহের এই মেদ থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। ভাবছেন মশলাটি অনেক দামী ধরণের কিছু হবে? মোটেই নয়, বরং খুবই সাধারণ একটি পরিচিত মশলা যার নাম ‘জিরা’। অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, অবাক হওয়ারই কথা। কিন্তু অবাক হলেও এটি সত্যি যে এই মশলাটি দেহের মেদ কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী।

Sadoughi University of Medical Science এর একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয় খাবারে জিরার ব্যবহার আপনার দেহের ওজন কমাতে সক্ষম। Apiaceae গোত্রের এই আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার রান্নায় বেশ ভালোই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই গবেষণায় মহিলাদের দুটি দলের উপরে গবেষণা চালানো হয়। যেখানে একটি দলের মহিলাদের প্রতিদিন দুপুর ও রাতের খাবারে দইয়ে মেশানো হয় ৩ গ্রাম জিরা। এরপর দুটি দলকেই নিউট্রিসনিস্টের পরামর্শে এই জিরা মেশানো দইয়ের পাশাপাশি কম ক্যালোরির খাবার খেতে বলা হয়। এরপর দেখা যায় জিরা মেশানো দই প্রাপ্ত দলটি ওজন কমিয়েছেন প্রায় ৪.৫ পাউন্ড ওজন। সেইসাথে কোমরের আকার কমে এসেছে, বডি ম্যাস ইনডেক্স অনুযায়ী দেহের ওজন কমে এসেছে, ফ্যাট কমেছে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমেছে।
কার্যকারণ

অনেকের মনে হতে পারে, কেন এতো মশলা থাকতে জিরা দেহের ওজন কমাতে সহায়ক হবে? এর কারণ হিসেবে গবেষকগণ জানান, অন্যান্য ঝাল ধরণের মশলার মতো জিরা অস্থায়ী ভাবে দেহের মেটাবোলিক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আমরা সকলেই জানি মেটাবোলিক ক্ষমতা বেড়ে গেলে এবং হজম ক্ষমতাও সঠিক থাকলে খাবার হজম হয়ে পুষ্টি দেহে শোষণ হতে সহায়তা হয় এবং দেহে মেদ জমতে পারে না। আর একারণেই জিরা আমাদের দেহে মেদ জমার হার কমায় ও আমাদের ওজন কমতে থাকে।

আপনি যেকোনো খাবারের সাথে জিরা এবং জিরার গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। প্রথম দিকে একটু স্বাদে সমস্যা হলেও পরবর্তীতে স্বাদ ঠিক হয়ে আসবে এবং সেই সাথে আপনার দেহের মেদ কমা শুরু হবে। তাই চেষ্টা করে দেখুন। তবে জিরা সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা থাকলে আপনার দেহে এই পদ্ধতি আপনার জন্য কতোটা সহায়ক তা জানতে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।



মন্তব্য চালু নেই