১৬ হাজার ফুট ওপর থেকে পড়েও বেঁচে আছে ডিসকভারির সেই বেয়ার গ্রিলস!

বেয়ার গ্রিলস। নামটা শুনলেই একরাশ অ্যাডভেঞ্চার, হাড় কাঁপানো স্টান্ট এবং অখাদ্য-কুখাদ্য খাওয়ার কথা মনে পড়ে যায়। তবে এ ছাড়াও তার জীবন কতটা অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ তা জানলে সত্যিই আপনি কেঁপে উঠবেন। অন্তত ৫ বার একেবারে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। আজ তার ৪২তম জন্মদিনে একবার দেখে নিন সেই পাঁচ ঘটনা।

১) ১৯৯৬, স্কাইডাইভিংয়ের সময় প্যারাশ্যুট দুর্ঘটনা : সে সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে ছিলেন গ্রিলস। দক্ষিণ আফ্রিকায় একবার স্কাই ডাইভিং করার সময় ১৬ হাজার ফুট ওপরে তার প্যারাশ্যুট ছিঁড়ে যায়। দ্বিতীয় প্যারাশ্যুট তখন কাজ করছিল না। সেই অবস্থায় তিনি মাটিতে এসে পড়েন। পিঠের হাঁড় ভেঙে যায়। তাকে সাড়ে তিন বছরের জন্য বিশ্রামে দেয়া হয়।

২) ১৯৯৮, এভারেস্টে ওঠার সময় : ২৬ হাজার ফুট উঠে গিয়েছেন। আর মাত্র ৩ হাজার ফুট উঠতে পারলেই এভারেস্ট জয়। কিন্তু শারীরিক ক্লান্তি এবং অসহ্য মাইগ্রেনে সে সময় দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন বেয়ার। বাধ্য হয়ে তাকে সেখান থেকে নিচে নেমে আসতে হয়।

৩) ২০০৩, বোটে করে আটলান্টিক পেরনো : একটা বোটে চেপে মহাসাগর পাড়ি দেয়ার মতো উদ্ভট চিন্তা একমাত্র তাঁর মাথাতেই আসতে পারে। আর সেটা করতে গিয়েই প্রায় মৃত্যুমুখে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সামুদ্রিক ঝড়ে বোট উল্টে যায়। সকলেরই তখন প্রাণ বাঁচানোর তাগিদ। সমস্ত ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট বিকল হয়ে গিয়েছে। ফলে উদ্ধারকারী দল যে আসবে তেমন সম্ভাবনাও নেই। তাও কোনোক্রমে বরফে আবৃত একটি পাড় দেখে সেখানে গিয়ে ওঠেন সকলে। অতিকষ্টে সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

৪) ২০০৯, সুমাত্রার নদীতে ডুব যাচ্ছিলেন : এ ঘটনা ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড শ্যুটিংয়ের সময় ঘটে। সুমাত্রার একটি পাহাড়ি নদীতে ভেসে যাচ্ছিলেন বেয়ার। তার পেছনে ক্রুমেম্বাররা ছিলেন ক্যামেরা নিয়ে। হঠাত্‍ একটি বড় পাথরে ধাক্কা লেগে তার পা আটকে যায়। মাথার ওপর পানি প্রবাহিত হতে থাকে। শুধুমাত্র একটি হাত দেখা যাচ্ছিল তার। সেটা দেখেই ক্রু-মেম্বাররা তাকে উদ্ধার করে।

৫) ২০০৯, কানাডায় শ্যুটিং দুর্ঘটনা : কানাডার একটি পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ে যান গ্রিলস। নানা অ্যাঙ্গেল থেকে তাকে শ্যুট করার জন্য ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। প্রায় ১০০ ফুট নিচে বরফের মধ্যে এক ক্যামেরাম্যান তার যন্ত্রপাতি নিয়ে বসে ছিলেন। বেয়ার সোজা গিয়ে দুরন্তগতিতে সেই ক্যামেরাম্যানকে ধাক্কা মারেন। কিন্তু তার ক্যামেরাটি বেয়ারের মাথা গুঁড়ো করে দিয়েছিল প্রায়। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। তবে একটা ফিমার ভেঙে যায় তার।-টাইমস অফ ইন্ডিয়া



মন্তব্য চালু নেই