১৬ হাজার টাকা বেতনে গৃহকর্মী নেবে সৌদি আরব

বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার গৃহকর্মী নিতে চুক্তি করেছে সৌদি আরব। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ হয়েছে ৮০০ রিয়েল (১৬ হাজার ৮০০ টাকা)।

মঙ্গলবার ঢাকায় সফররত সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রবাসী কল্যাণ সচিব মো. ইফতেখার হায়দার ও সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপমন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাদ একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, ‘এখন থেকে সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। গত দুই দিন দুই পক্ষ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সবকিছু মিলিয়ে সৌদি আরব গৃহকর্মী নিতে সম্মত হয়েছে। গৃহস্থালি খাতে যে ১২টি পেশা রয়েছে এর মধ্যে শুধু গৃহকর্মীদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ হয়েছে ৮০০ রিয়েল। অন্য ১১টি পেশার মজুরি নির্ধারণ হয়নি।’

এর এক দিন আগে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে দুই দফা বৈঠক শেষে সৌদি আরবের মন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাদ বাংলাদেশকে ‘বিশেষ গুরুত্ব’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

১১টি পেশার মজুরি নির্ধারণ বিষয়ে ইফতেখার হায়দার বলেন, ‘আমরা কোনো মানদণ্ড ঠিক করিনি। কারণ আমার শ্রমিকরা অভিজ্ঞ হলে আরো বেশি মজুরি পেতে পারে। যদিও ঠিক করা হয়নি তবে মজুরি কোনোভাবে ৮০০ রিয়েলের কম হবে না।’ অন্য খাতেও শিগগির কর্মী পাঠানো শুরু হবে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ সচিব জানান, আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শ্রমিকেরা যে পরিমাণ কাজ করার কথা, তা করবে। সেটি না হলে নিয়োগকর্তার সঙ্গে কথা বলে সমঝোতার ভিত্তিতে মজুরি ঠিক হবে। নির্ধারিত সময়ের বেশি কাজ করলে তারা ওভারটাইম পেতে পারেন।

তিনি আরো জানান, বিদেশে যাওয়া শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি দূতাবাসের মাধ্যমে খোঁজখবর রাখা হবে।

সৌদি মন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের সব ধরনের অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করব। নিয়োগদাতা কর্মীদের থাকা-খাওয়ার খরচ বহন করবে। আর তাদের দক্ষতার ওপর তাদের মজুরি নির্ধারিত হবে।’ সৌদি আরবকে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত কর্মক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব, যা এ বছর তুলে নেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক নিত দেশটি।

সরকারি হিসাবে বর্তমানে ১২ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। এই হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব ।



মন্তব্য চালু নেই