১৩ বছর পর দেশে আর গ্যাস থাকবে না

বর্তমান হারে গ্যাস উত্তোলন এবং ব্যবহৃত হলে আগামী ১৩ বছর পর দেশে আর রিজার্ভ থাকবে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর চাপ কমাতে এলপিজি গ্যাসের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে নতুন নতুন গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কারের চেষ্টাও চলছে।

সোমবার (২৫ জুলাই) সংসদ সদস্য পঞ্চনন বিশ্বাসের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতীয় সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় গ্যাসের উৎপাদন কম হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলাতে গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না।’

লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে গ্যাসের বার্ষিক চাহিদা ১০৮০ বিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু দেশে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২ হাজার ৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট। দৈনিক চাহিদা আরো বেশী।

তিনি বলেন, ‘বিগত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে প্রায় ৯৭৪ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হয়েছে। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় ১০৬ বিলিয়ন ঘনফুট কম উৎপাদিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন নতুন কল-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ দিতে হচ্ছে। সে কারণে নতুন গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কৃত না হলে নতুন এলাকায় গ্যাসের লাইন সংযুক্ত করা কঠিন। কেননা, বর্তমানে মজুতকৃত গ্যাস আর মাত্র ১৩ বছর চলতে পারে। তাই আমরা নতুন নতুন গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কারের চেষ্টা করছি। আশা করি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কৃত হবে এবং নতুন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।’

ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি নবী নেওয়াজের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি নির্ধারিত জেলা কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহ, খুলনা এবং বাগেরহাট শহর এলাকায় ৮৪৫ কিলোলিটার গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য পেট্রোবাংলার অধীনস্থ সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় সকল বৈদেশিক মালামাল ক্রয় কাজও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু দেশে ক্রম-হ্রাসমান গ্যাস মজুদের বিষয়টি বিবেচনা করে শুধুমাত্র পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবাহের লক্ষ্যে ১১২ কিলোমিটার পাইপ লাইন স্থাপণের জন্য সংশোধিত ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। যা অনুমোদিত হলে কাজ শুরু হবে।



মন্তব্য চালু নেই