১২৩ বছরের রেকর্ড ভাঙল বাংলাদেশ

ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ তুলেছিল ৫৯৫ রান। এত বেশি রান তুলে টেস্টে হারের রেকর্ড নেই একটিও। ১৮৯৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিডনিতে ৫৮৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া হেরেছিল। প্রথম ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রানের পর হারের রেকর্ড ছিল ওটাই। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে ৭ উইকেটে হারের মধ্য দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।

ওয়েলিংটনে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের বীরোচিত ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের প্রাপ্তি ছিল স্বপ্নের মতোই। ৫৯৫ রানের রান-পাহাড়ে চড়ে দারুণ কিছুর প্রত্যাশায় ছিল টাইগার সমর্থকরা। ওই ইনিংস খেলার পথে অনেকগুলো রেকর্ডের জন্ম দেন সাকিব-মুশফিক জুটি।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৫৯৫/৮ (ডিক্লেয়ার)

দ্বিতীয় ইনিংস ১৬০/৯

নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৫৩৯

নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস ২১৭/৩

ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী

প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের ফলে জয় না হোক অন্তত ড্রয়ের স্বপ্নে বিভোর ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আচমকা ঝড়ে যেন সব পরিসংখ্যান এলোমেলো হয়ে যায়। ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় ইনিংসে বাজে শটের মহড়ায় মেতেছিল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা।

চোট এবং বাজে ব্যাটিং মহড়ার দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ তুলেছে ১৬০। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন সাব্বির রহমান। প্রথম ইনিংসে ছিল ৫৬ রানের লিড। ফলের ঘরের আঙিনায় টেস্ট জিততে নিউজিল্যান্ডের দরকার হয় ৫৭ ওভারে ২১৭। কিন্তু উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেট হাতে রেখেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেল কিউইরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬০ রান আসে রস টেইলরের ব্যাট থেকে।

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি ও শুভাশিষ রয় একটি উইকেট নেন।

প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ২১৭ রান করেছিলেন সাকিব। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে? শূন্য রানে সাজঘরে সাকিব। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো শূন্য রানে আউট সাকিব। ২০০৯ সালের পর শূন্য রানে আউট হলেন সাকিব। স্পিনার স্যান্টনারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব। এরপর আজ ২৩ রানে গ্র্রান্ড হোমের বলে ওয়াগনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। এর আগে গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে বাজে শট খেলে আউট হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ (৫)।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘাতক হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইনজুরি সমস্যা। গতকাল দলীয় ৪৬ রানের সময় পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ইমরুল কায়েস। তার মাঠ ছাড়ার পরই ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। এরপর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তামিম, মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ পঞ্চম দিনে দলীয় অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আঙুলে চোট নিয়ে মাঠে নামলেও এর সঙ্গে আরেক ইনজুরি সমস্যা নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ ছাড়েন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩তম ওভারে টিম সাউদির বাউন্স হেলমেটের পেছন দিকে নিচে আঘাত লাগে। ফলে মাথায় চোট পেয়ে ব্যক্তিগত ১৩ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।



মন্তব্য চালু নেই