১০ টি উপায়ে সস্তায় হোক শখের ইউরোপ ভ্রমণ

ইউরোপ ভ্রমণ যে কোন ভ্রমণকারীর স্বপ্ন। শিল্প-সংস্কৃতি, স্থাপত্যের পাশাপাশি প্রাকৃতিক প্রাচুর্য্যের ভান্ডারও ইউরোপ। তাই বেড়ানোর জন্য ইউরোপ বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু বেরানোর খরচটাও একটা ব্যাপার। আপনি অবশ্যই কম খরচে যতটা সম্ভব জায়গায় বেরিয়ে আসতে চাইবেন। কীভাবে কম খরচে বেড়াবেন? টিপসগুলো আপনার জন্য-

১। অগ্রীম টিকেট কাটুন-
প্লেনের টিকেট অগ্রীম কাটার বেশ কিছু সুবিধার মধ্যে একটি, এতে আপনার খরচ কমবে। মাত্র ২/৩ মাস আগে টিকেট কাটার দূর্দান্ত সুবিধা পাবেন আপনি। আগে থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে গেলে আপনি অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ডিসকাউন্ট বা ছাড় পাবেন।

২। বাজেট এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ-
বিলাসবহুল বিমানে যাতায়াত এড়িয়ে চলুন। ইউরোপের অভ্যন্তরে ইজিলেট এবং রায়ানএয়ার দু’টি জনপ্রিয় বাজেট বিমান্সেবা রয়েছে। এগুলো তেমন আরামদায়ক নয়। কিন্তু আপনাকে সস্তায় গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। এমনকি এরা বেশ সময়ানুবর্তী।

৩। ব্যাগের ওজন খেয়াল রাখুন-
বাজেট বিমানসেবায় ব্যাগের ওজন, আকৃতি এগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে। চেষ্টা করুন, শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিতে। নচেৎ, বিমান তো বাজেটের মধ্যে আছে, কিন্তু জরিমানা বাজেট ছাড়িয়ে যেতে পারে।

৪। বাসে যাতায়াত করুন-
ইউরোপের ভেতরে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে বাসে যাতায়াত করতে পারেন। যদিও এতে আপনার সময় অনেক বেশী লাগবে, কিন্তু খরচ অনেক কমে যাবে। একেবারে প্রতিবেশী দেশে ভ্রমণে এটি বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

৫। হোস্টেলে থাকুন-
ইউরোপের বেশিরভাগ হোস্টেল পরিচ্ছন্ন এবং নিরাপদ। হোটেলে থাকা নিঃসন্দেহে ব্যাপক ব্যয়সাধ্য। তাই হোস্টেল বেছে নিন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনি এই সংক্রান্ত তথ্য যেমন কেমন রুম, রুমে কি কি সুবিধা আছে, ভাড়া কত সব জানতে পারবেন। ডুম স্টাইলের রুমগুলো সবচেয়ে সস্তা হয়, কারণ সেখানে আপনাকে অপরিচিতদের সাথে রুম শেয়ার করতে হবে।

৬। ট্যুর গ্রুপের মাধ্যমে ট্রিপ বুক করুন-
আপনি যদি ১ সপ্তাহের একটি ট্যুর প্ল্যান করেন বা এর কিছু বেশী এবং এই সময়েই যত বেশী সম্ভব জায়গা দেখতে চান তাহলে সবচেয়ে ভাল বুদ্ধি গ্রুপে ভ্রমণ। একা বেড়ানোর তুলনায় গ্রুপে ট্রিপগুলো অনেক বেশী সাশ্রয়ী হয়।

৭। বাসেবাউট-
এটি ব্যাকপ্যাকারদের জন্য খুবই জনপ্রিয় যাতায়াত সেবা। বাসেবাউট এর রুট আছে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে। আর এদের বেশীরভাগ পাসই আপনাকে যেখানে ইচ্ছা নামার এবং ওঠার সুবিধা দেবে। এই বাসের ৩৩ টিরও বেশী জনপ্রিয় ভ্রমণস্থানে স্টপেজ আছে। আরেকটি মজার সুবিধা হল, একই মানুষের সাথে বার বার দেখা হবে বাসে আপনার, ফলে বন্ধুও পেয়ে যাবেন।

৮। গাড়ি শেয়ার-
কোন জায়গায় যেতে হলে যদি গাড়ি নিতেই হয় তাহলে সংগী খুঁজুন। শেয়ারে গাড়ি ভাড়া নিন। খরচও কমবে, সঙ্গীও পাবেন। এতে আপনার ভ্রমণ আরও উপভোগ্য হবে।

৯। বাইক ইউরোপ-
দীর্ঘসময়ের ইউরোপ ভ্রমণে সস্তা নয় একেবারে বিনামূল্যে যাতায়াতের জন্য বাই সাইকেল হতে পারে দারুণ সংগী। এমন অনেকেই আছেন যারা সাইকেলে ইউরোপ ভ্রমণ করেন এবং দেখা গেছে তারা এটি বেশ উপভোগ করেন। শুধু সময়টা বাঁধা থাকবে আপনার পায়ে, এই যা!

১০। ট্রেন-
ট্রেনে ভ্রমণ বেশ জনপ্রিয় ইউরোপ বেড়ানোর জন্য। ট্রেনগুলো বলতে গেলে সব জায়গায় যায়, খাবার পাওয়া যায়, বড় বড় জানালা দিয়ে চমৎকার সব ছবি তোলা যায় সহজে। আর খরচের বেলায় এটি বাস আর প্লেনের তুলনায় সস্তা।



মন্তব্য চালু নেই