১০০ দিনে কী দেখালেন ট্রাম্প?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় থাকার ১০০ দিন পূর্ণ হচ্ছে আগামী শনিবার। কোটিপতি এই ব্যবসায়ী মার্কিনদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি তাঁদের জন্যই জিতবেন।

কিন্তু প্রথম ১০০ দিনে ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডকে কতটা গ্রহণ করেছেন মার্কিনরা? নানা বিশ্লেষণ ও সমালোচনা বলছে, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্প সবচেয়ে কম জনপ্রিয় নেতা।

৭০ বছরের এই নেতার জয় বিশ্বের রাজনৈতিক মহলের কাছে একটি ধাক্কার মতো ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কয়েক সপ্তাহে ট্রাম্প হোঁচট খেয়েছেন। তাঁর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত স্থগিত করেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার করতে গিয়েও তিনি জটিলতায় পড়েন। ট্রাম্প বলেছেন, কেউ জানতেন না স্বাস্থ্য সংস্কার এত জটিল হতে পারে।

উত্তর কোরিয়া ইস্যু নিয়েও জটিল পরিস্থিতিতে রয়েছেন ট্রাম্প। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া নিয়ে আলোচনার পর ট্রাম্প বলেন, ‘১০ মিনিট শোনার পর বুঝেছি বিষয়টি সহজ নয়।’

অবশ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ সম্প্রতি বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে অনেক প্রেসিডেন্টকেই পড়তে হতে পারে। চিন্তার থেকে বাস্তব পরিস্থিতি আলাদা হয়ে থাকে।

উত্তর কোরিয়া অভিমুখে মার্কিন রণতরি পাঠানো, সিরিয়ায় বিমান হামলার পর বিতর্কের মুখে পড়েন ট্রাম্প। সমালোচনা ওঠে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক দ্বন্দ্বের দিকে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে নয়/এগারোর মতো বড় সন্ত্রাসী হামলা হলে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কী করবেন, সে প্রশ্নও ওঠে।

কার্যকলাপ দেখে বলা হচ্ছে, এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসেননি।

দ্য নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনে লেখক ফিলিপ রথ ট্রাম্পকে নিয়ে লেখেন, শাসনব্যবস্থা, ইতিহাস, বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য বিষয়ে তিনি অজ্ঞ একজন প্রেসিডেন্ট।

প্রশাসন ও হোয়াইট হাউসের ভেতরেও সুস্থির পরিস্থিতিতে নেই ট্রাম্প। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলবিদ স্টিভ ব্যাননকে অপসারণ করেন। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসান মেয়ে ইভাঙ্কা ও জামাই জারেড কুশনারকে।

বড় কথা হলো, এই ১০০ দিনে বড় কোনো সাফল্য দেখাতে পারেননি ট্রাম্প। এক টুইটে ট্রাম্প প্রথম ১০০ দিন নিয়ে বিদ্রূপাত্মক আলোচনার নিন্দা জানান।

এখন দেখা যাক, ট্রাম্পের সামনের দিনগুলোতে কী হয়। এএফপি অবলম্বনে।



মন্তব্য চালু নেই