হোয়াইট হাউসের চাকরি ছাড়লেন ট্রাম্পের সহযোগী জেসন মিলার

হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ দপ্তরের প্রধান হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছাত্রছায়া থেকে সরে এলেন জেসন মিলার।

ব্যক্তিগত কারণে কাজে যোগ দিতে আগ্রহী নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। গর্ভবতী স্ত্রীকে উল্লেখ করে মিলার বলেছেন, ‘‌পরিবারের সঙ্গে একটা সপ্তাহ কাটাবার সুযোগ পেলাম। ২০১৫ সালের মার্চ মাসের পর এই প্রথম আমরা একটানা এতদিন একসঙ্গে থাকলাম। তারপরই সিদ্ধান্ত পাল্টেছি। কাঁধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে হোয়াইট হাউসে যোগ দেয়া সম্ভব নয়।’‌

আগামী জানুয়ারি মাসে তাঁদের দ্বিতীয় কন্যাসন্তান জন্ম নেবে। তবে বাচ্চার জন্মের পরও হোয়াইট হাউসে ফিরতে নারাজ মিলার। বাইরে থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস সচিবের পদে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির যোগাযোগ দপ্তরের প্রধান শন স্পাইসারকে বেছে নেন ট্রাম্প। আপাতত তাঁর হাতেই দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন মিলার। মাত্র দু’‌দিন আগেই তাঁকে যোগাযোগ দপ্তরের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তাহলে হঠাৎ এমন কী হল?‌

মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ব্যক্তিগত কেচ্ছা ধামাচাপা দিতেই নাকি মত পাল্টেছেন মিলার। মিলার শারীরিক নির্যাতন কেলেঙ্কারিতে যুক্ত বলে দিনকয়েক আগে টুইটারে অভিযোগ করেছিলেন মার্কিন আইনজীবী এ জে দেলগাডো। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই নাকি দু’‌জনের ঘনিষ্ঠতা শুরু। মনোমালিন্যের জেরে সম্প্রতি প্রকাশ্যে মুখ খোলেন দেলগাডো। মিলারকে তিনি শারীরিক নির্যাতন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন ডেমোক্র‌্যাটিক সেনেটর জন এডওয়ার্ডসের সঙ্গে তুলনা করেন। -‌আজকাল



মন্তব্য চালু নেই