হেঁটে হেঁটে ফোন ব্যবহার করলে হবে জেল-জরিমানা

অনেকেই চলতি পথে মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা আদান-প্রদান করে থাকেন। আবার অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন। তাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ। এখন থেকে চলতি পথে মোবাইল ফোনে বার্তা আদান প্রদান আইন করে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। আদেশ অমান্য করলে গুনতে হবে জরিমানা। সেই সাথে থাকবে কারাদন্ডও।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে এই বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। কোন জনবহুল রাস্তায় চলাচলের সময় হ্যান্ডস ফ্রি ডিভাইস ব্যতীত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে আইন অনুযায়ী ৫০ ডলার জরিমানা, ১৫ দিনের কারাদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে।

দেশটিতে প্রচুর মানুষ চলতি পথে তাদের ডিভাইসগুলো ব্যবহার করেন গান শুনতে অথবা টেক্সট আদান প্রদানে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বলছে, ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিভ্রান্ত হেঁটে এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে ১১ হাজার ১০১ জন। এর বেশিরভাগ ই মহিলা এবং তাদের বয়স ৪০ বছরের নিচে। এই দুর্ঘটনাগুলোর ৮০ শতাংশ ঘটেছে মোবাইলে বার্তা আদান প্রদানের সময়। আঘাত প্রাপ্ত ব্যক্তির হাড় ভেঙ্গে যাওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভ্রান্তভাবে হাঁটা লোকের সংখ্যা পৃথিবীতে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব বয়সের লোকের ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে ব্যক্তিগত এবং অফিসের কাজ সম্পাদনের জন্য।

নতুন প্রস্তাব করা এই আইনের প্রস্তাবক রাজ্য কংগ্রেসের ডেমোক্রেটিক সদস্য পামেলা ল্যামপিট হাঁটার সময় বার্তা আদান প্রদানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চান। তিনি বলেন, ‘জরিমানা থেকে আদায়কৃত অর্থের অর্ধেক ব্যয় হবে চলতি পথে বার্তা আদান প্রদান করলে কি ধরণের সমস্যা হতে পারে, সে ব্যাপারে জনসচেতনতামূলক শিক্ষার জন্য।’

অনেকে আবার এই আইনকে একটি প্রহসন মনে করছেন। ল্যামপিটের পক্ষেও রয়েছেন অনেকে। কিন্তু সবাই আইনের চেয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির দিকেই জোড় দিতে বলেন। ল্যামপিট এই ধরণের যাতায়াতকে ‘রিস্কি বিহেভিয়র’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এই আইন প্রণয়নের ওপর কোন শুনানির দিন ধার্য করা হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই