হৃদরোগ হতে পারে শিশুরও, কারণ…

হৃদরোগ শুধু যে বড়দের বেলায় প্রোযোজ্য তা কিন্তু নয় বর্তমানে শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে রোগে। শিশুর হৃদরোগের রয়েছে নানা কারণ।
এর মধ্যে কিছু কারণ আমরা নিয়ন্ত্রণ কিংবা প্রতিরোধ করতে পারি। আবার অনেক সময় পরিবারের অন্যান্যদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্যও শিশু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়।
হৃদরোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল তা প্রতিরোধ করা। সাধারণত বিশেষ যে কারণে শিশুর হৃদরোগ হয়-

উচ্চ রক্তচাপ

শিশুদের উচ্চ রক্তচাপ থাকাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কোনো লক্ষণ বোঝা যায়না। শিশুদের উচ্চ রক্তচাপ জন্মগত নয়, কিন্তু এর পেছনে বংশগত কারণ রয়েছে। তাই পরিবারের কারো উচ্চ রক্তচাপ থাকলে শিশুর রক্তচাপ পরীক্ষা করানো উচিৎ। শিশুর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শিশুর ওজন বেশি হলে উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকিও বেশি থাকে। শিশুকে খেলাধুলা করতে দিন। শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন ছোটখাট কাজও করতে দিতে পারেন। খাবার দাবারের ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। এসব মেনে চলার পরেও শিশুর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কোলেস্টেরল

গবেষণায় দেখা গেছে বয়স হয়ে যাওয়ার পর যাদের কোলেস্টেরল বেড়ে যায় মূলত ছোটবেলা থেকেই তাদের এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই বাচ্চাদের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকলে এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিৎ। এ ধরনের বাচ্চাদের প্রতিদিন ৩০ থেকে ৬০ মিনিট ব্যায়াম করাতে হবে। যেসব খাবারে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট কম সেসব খাবার খেতে দিতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

ধূমপান

ধূমপান করার ফলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন জটিল অসুখ হয়। কমবয়সী ছেলেরা অনেক সময় ভুল করে ধূমপান শুরু করে কিন্তু চাইলেও এ আসক্তি থেকে সহজে বের হতে পারেনা। তাই ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হবে। আপনার সন্তান যদি ধূমপান করে থাকে তাহলে ধূমপানের খারাপ দিক সম্পর্কে তাকে বোঝান। এ ব্যাপারে তার সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন।

স্থূলতা

যেসব বাচ্চার স্থূলতা থাকে তাদের হৃদপিণ্ডের অসুখ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এসব বাচ্চাদের কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

শারীরিক পরিশ্রম না করা

হৃদপিণ্ডের অসুখের অন্যতম কারণ শারীরিক পরিশ্রম না করা। শারীরিক পরিশ্রম না করলে স্থূলতা, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এক কথায় বলতে গেলে শারীরিক পরিশ্রম না করাই হৃদপিণ্ডের অসুখের অন্যতম প্রধান কারণ। নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করলে হৃদপিণ্ড থাকবে সুস্থ।



মন্তব্য চালু নেই