হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় আতাফল

আমাদের বসতবাড়ির আঙিনায়, ঝোপঝাঁড়ে সহজেই আতাফলের গাছ জন্মে থাকে। অযত্ন অবহেলায় আতাফলের বংশ বিস্তার ঘটে বেশ, ফলও ধরে সহজে। সুস্বাদু এই ফলের চাহিদার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বানিজ্যিকভাবে আতাফলের চাষ হচ্ছে। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ফলটি সহজে পেট ভরাতেও দারুণ উপযোগী।

অনেকের কাছে আতা খুব পছন্দের ফল। সহজলভ্য এ ফলটির প্রতি ১০০ গ্রামে পাওয়া যাবে শর্করা ২৫ গ্রাম, পানি ৭২ গ্রাম, প্রোটিন ১.৭ গ্রাম, ভিটামিন এ ৩৩ আইইউ, ভিটামিন সি ১৯২ মিলিগ্রাম, থিয়ামিন ০.১ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাবিন ০.১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিয়ান ০.৫ মিলিগ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড ০.১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৭ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২১ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩৮২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৪ মিলিগ্রাম। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে গুণে ভরা আতাফল। জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে-

* আতাফলে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। দুরারোগ্য ব্যাধিকে তাড়িয়ে আপনাকে সুস্থ রাখে।

* শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে ক্যালসিয়াম সরবারহ করতে সক্ষম।

* খাবার হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে আতাফলে থাকা ফসফরাস উপকারী ভূমিকা পালন করে।

* আতাফল শরীরের ডিএনএ ও আরএনএ সংশ্লেষণ, শক্তি উৎপাদনের জন্য ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি ও খনিজ পদার্থসমূহ সরবরাহ করে থাকে।

* আতাফলে রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন সি এর উপস্থিতির কারণে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।

* আতাফলে থাকা পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ রক্তের উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।



মন্তব্য চালু নেই