হুথিদের দখলে তিয়াজ বিমানবন্দর

ইয়েমেনের শিয়াপন্থি হুথি বিদ্রোহীরা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় তিয়াজ শহরের বিমানবন্দরটি দখল করে নিয়েছে। এখন তারা দেশটির নতুন নতুন এলাকা এলাকা দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।

রোববার সকালে সরকার সমর্থক হিসেবে পরিচিত হাদি’দের সঙ্গে সংঘর্ষের পর তাদের হটিয়ে দিয়ে তিয়াজ বিমানবন্দরটি দখল করে নেয় হুথিরা।এটি দখলে নেয়ার পর তারা এডেন শহরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে। বর্তমানে এই শহরেই প্রশাসনিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট আবেদ রাব্বু মানসৌত হাদি। হুথিদের হাতে ক্ষমতাচ্যূত হয়ে রাজধানী থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর থেকে তিনি এখানেই অবস্থান করছেন।

গত সে্প্টেম্বরে ইয়েমেন সরকারে বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করার পর থেকে দেশের ২১টি প্রদেশের ৯টি দখল করে নিয়েছে হুথিরা।

হুথিদের বিমানবন্দর দখলের ঘটনাকে যুদ্ধ শুরুর আলামত হিসেবে উল্লেখ করেছেন এক ইয়েমেনি মুখপাত্র। ওয়াশিংটনের ইয়েমেন দূতাবাসের মুখপাত্র মোহাম্মদ আল বাশা এ সম্পর্কে টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি ইয়েমেনে যুদ্ধের দামাম শুনতে পাচ্ছি।’

এদিকে শনিবার টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে প্রেসিডেন্ট হাদি বিদ্রোহীদের শাসনকে সাংবিধানিক বৈধতার বিরুদ্ধে অভ্যূত্থান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সানা থেকে পালিয়ে আসার পর এটিই তারা প্রথম ভাষণ।

তিনি হুথিদের সমর্থন দেয়ার জন্য প্রতিবেশী ইরানকে দোষারুপ করে থাকেন। তবে ইরান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ওই ভাষণে মাররান পর্বতে ইয়েমেনের পতাকা উত্তোলনের শপথ ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট হাদি। ওই পার্বত্যাঞ্চলটি বর্তমানে হুথিদের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। শিয়া জাইদি সম্প্রদায়ভুক্ত হুথিরা ইয়েমেনের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ। পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলো ইয়েমেনের হাদি গোত্রের সমর্থনে তাদের দূতাবাস রাজধানী সানা থেকে এডেন সরিয়ে নিয়েছে।

এদিকে এই সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ইয়েমেনের মার্কিন দূতাবাসের সকল কর্মচারীদের সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া দেশটিতে জরুরি ভিত্তিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ওয়াশিংটন।



মন্তব্য চালু নেই