হিটলারের জন্মস্থান ‘দখলে’ নিতে চায় অস্ট্রিয়া

অস্ট্রিয়ার সরকার বলছে অ্যাডলফ্ হিটলার অস্ট্রিয়ার যে বাড়িতে জন্মেছিলেন সেই বাড়িটি তারা নিজেদের ‘দখলে’ নেবে।
অস্ট্রিয়া সরকার বলছে বাড়িটি নাৎসী সমর্থকদের পীঠস্থান হয়ে ওঠা ঠেকাতেই তাদের এই পদক্ষেপ।
এই বাড়ি যেভাবে নব্য নাৎসীবাদীদের পূণ্যস্থান হয়ে উঠেছে তাতে উদ্বিগ্ন অস্ট্রিয়া সরকার বলছে গত বেশ কয়েক বছর ধরে তারা কীভাবে এর মোকাবেলা করা যায় তা বিবেচনা করছিলেন।
নাৎসী জার্মানির নেতা অ্যাডলফ্‌ হিটলার ১৮৮৯ সালে অস্ট্রিয়ার ব্রাউনাউ আম ইন শহরের এই বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭২ সালে দেশটির সরকার বাড়ির মালিকের কাছ থেকে বাড়িটি ইজারা নেন এবং বহু বছর বাড়িটি প্রতিবন্ধীদের দেখাশোনার একটি কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার হয়েছে।

এরপর ২০১১ সালে অস্ট্রিয়া সরকার ও বাড়ির মালিকের মধ্যে এক বিরোধের জেরে বাড়িটি খালি করে হয়ে যায়। বাড়ির মালিক গার্লিন্ড পমার বাড়িটিতে কোনোরকম মেরামতের কাজ করার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এখন অস্ট্রিয়া সরকার বলছে ওই বাড়ির মালিকানা যাতে রাষ্ট্রের হাতে আসে তা নিশ্চিতকরতে তারা নতুন আইন করছেন।
কিন্তু সরকার এই বাড়ি নিয়ে ভবিষ্যতে কী করতে চায় তা তারা বলছেন না।
বাড়িটি হিটলারের জন্মস্থান হিসাবে কোনোভাবে চিহ্ণিত নয়। নাৎসী অতীতের কোনো চিহ্ণ বাড়িটি বহন করছে না। শুধু বাড়ির বাইরে পাথরে খোদাই করে লেখা আছে ”ফ্যাসিবাদ আর নয়- লক্ষ লক্ষ নিহতের স্মরণে”। হিটলারের নাম বাড়ির কোনো অংশে লেখা নেই।
বাড়িটির ভবিষ্যত নিয়ে বহু প্রস্তাবনা এসেছে। এটি ধ্বংস করে ফেলার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
রুশ একজন সংসদ সদস্য বাড়িটি কিনে নিয়ে তা বিস্ফোরক দিয়ে গুঁড়িয়ে দেবারও প্রস্তাব দিয়েছেন।
হিটলার নাৎসী জার্মানি শাসন করেছিলেন ১৯৩৩ সাল থেকে ১৯৪৫-এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত।



মন্তব্য চালু নেই