হিজড়াদের জন্য ব্যতিক্রমী স্কুল

হিজরা। সমাজে তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয়ে পরিচিত একটি জাতি। সমাজে তারা যেমন অবহেলিত। তেমনি কিছু অসাদু লোকের হাতের খেলনা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। তবে এবার তারা নিজেরাই সংগঠিত হচ্ছে দেশে দেশে। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টাও হচ্ছে সম্প্রতি। শুধু তাই নয় সরকার ও মানবাধিকার কর্মীরাও এ ব্যপারে সোচ্চার। তারই অংশ হিসেবে ভারতের কেরালা রাজ্যে সম্প্রতি এরকম একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

স্কুলটির নাম ‘সহজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’। ছয়জন হিজড়া অ্যাক্টিভিস্ট স্কুলটি পরিচালনা করছেন। আপাতত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ জন। হিজড়া হওয়ার কারণে যারা ছোটবেলায় স্কুলে পড়াশোনা করতে যেতে পারেননি সেরকম বয়স্ক হিজড়াদের জন্য স্কুলটি গড়ে তোলা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে।

স্কুলের প্রশাসক ও হিজড়া অ্যাক্টিভিস্ট বিজয়রাজা মল্লিকা বলেন, ‘এই শিক্ষার্থীদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটানোই আমাদের লক্ষ্য৷ আমরা চাই সমাজ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের গ্রহণ করুক।’

মল্লিকা সহ আরও দু’জন অ্যাক্টিভিস্ট মায়া মেনন ও সি কে ফয়সাল আশা করছেন তাঁদের উদ্যোগ ভারতে হিজড়াদের প্রতি বৈষম্য দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ২০১৪ সালে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে তারপরও সামাজিক ও আইনগত নানান বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের রায়গড়ের মেয়র নির্বাচিত হন মধু বাই কিন্নর। তিনিই প্রথম নির্বাচিত মেয়র যিনি হিজড়া সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে তিনি বিজেপির প্রার্থীকে হারিয়ে দেন।



মন্তব্য চালু নেই