হাসিনার সঙ্গে খালেদার সংলাপ হতে পারে না : হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের যারা পুরস্কৃত করেছেন তাদের সাথে আওয়ামী লীগের কখনও সংলাপ হতে পারে না। তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করেছিলেন এবং তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল রশিদকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত করেছিলেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘তাই আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কোন সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে পারে না।’

হানিফ সোমবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলের জনতা ব্যাংক ভবনের সামনে জনতা ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

জনতা ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান, আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুকুর মাহমুদ ও কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম।

মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, দেশের সুশীল সমাজের কিছুসংখ্যক লোক বেগম খালেদা জিয়ার অপকর্মকে জায়েজ করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বিএনপি নেত্রীর মধ্যে সংলাপের কথা বলছেন। তিনি বলেন, আইনের শাসনে বিশ্বাসীদের সাথে হত্যা, নাশকতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে কখনও সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে পারে না।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় নিয়ে করা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের জবাবে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি সম্পর্কে জানেন বলেই এ মামলার রায় কি হবে তা তিনি জানতে পেরেছেন।

তিনি বলেন, তা না হলে বিচারাধীন এ মামলার রায় কি হবে তা কি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল জানতে পারলেন।

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার রায় সম্পর্কে তিনি বলেন, এ মামলার রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন বলবৎ রয়েছে। কেননা, মামলার ৩৫ আসামীর মধ্যে ২৬ জনের ফাঁসি হয়েছে এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সম্পর্কে হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশের লাখ লাখ মানুষ তাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে বরণ করে নিয়েছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই