‘দেশে দুরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনায় গণতন্ত্রকে বিপন্ন করা হয়েছে’ দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘হৃত গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া এ আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘নতুন বছরটি সবার জীবনে বয়ে আনুক বিজয়, অনাবিল সুখ ও শান্তি, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা, দূর হয়ে যাক সব অন্যায়-উৎপীড়ণ, নির্যাতন। বন্ধ হোক হত্যা, গুম, খুন, যুদ্ধ বিগ্রহ ও অমানবিকতাসহ সব ধরনের দমনমূলক নৃশংসতা-নববর্ষের শুরতে আমি এই কামনা করছি। হৃত গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানাই।’

নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসী এবং বিশ্ববাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সকলের অব্যাহত সুখ, স্বাচ্ছন্দ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে নববর্ষে শুভেচ্ছা জানান তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘১ জানুয়ারি প্রতিবছর নতুন বার্তা নিয়ে আমাদের দ্বারে উপস্থিত হয়। পুরনো বছরের ব্যর্থতা, তিক্ততা, গ্লানী ও হতাশাকে ঝেড়ে ফেলে নবউদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায় নববর্ষ। পাশাপাশি অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণে তৎপর হতে হবে বছরের প্রথম দিন থেকেই। গেল বছরটি এখন আমাদের মনে স্মৃতি হয়ে থাকবে।’

‘গত বছরের বেশকিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা, স্বজন হারানোর বেদনা এবং অধিকার হারানোর যন্ত্রণা আগামী বছরে আমাদের একদিকে যমন বেদনার্ত করবে আবার অন্যদিকে নতুন উদ্যোমে এগিয়ে যেতে তাগিদ সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশে দূরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনায় গণতন্ত্রকে বিপন্ন করা হয়েছে। বৈচিত্র্যের মধ্যে অন্তর্নিহিত ঐক্য গণতন্ত্রের সার, কিন্তু বাংলাদেশে চিরন্তন গণতন্ত্রের বহুত্ববাদী বৈচিত্র্যকে অবসন্ন করে মহলবিশেষ ক্রমাগতভাবে রাষ্ট্রের একচ্ছত্র একমাত্রিক চরিত্র দান করতে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছিয়েছে’।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বময় সংঘাত আর অশান্তির ঘটনা প্রবাহে নতুন বছরটিকে গণতন্ত্র, শান্তি ও অগ্রগতির বছরে পরিণত করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। দেশে অজস্র রক্তঋণে অর্জিত গণতন্ত্র অপহৃত হয়েছে। গণবিরোধী শক্তি জনগণের সব অধিকারকে বন্দি করে রেখেছে।’

এ অবস্থায় সব গণতান্ত্রিক শক্তির মিলিত সংগ্রামে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে’ বলে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।