হারাতে হতে পারে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ!

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি নানারকমের সংস্কারের পথ দিয়ে হাঁটছে। এই ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ে বৈঠকে নানা ইস্যুতে ঝড় উঠেছিল। এখন জানা যাচ্ছে, আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ ধরে রাখতে হলেও নিয়মিত পারফর্ম করে যেতে হবে। প্রতি ৫ বছর পর পর্যালোচনা হবে। সেখানে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে যে কেউ পূর্ণ সদস্যপদ হারিয়ে সহযোগী বা অ্যাসোসিয়েট সদস্য হয়ে যেতে পারে, তা সে ভারত, অস্ট্রেলিয়া বা বাংলাদেশ যেই হোক না কেন!

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির গঠনতন্ত্রে এমনই পরিবর্তন আনার প্রস্তাব এসেছে। ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ে আইসিসির নির্বাহী বোর্ডের সভায় এ বিষয়ে প্রস্তাব আসে বলে জানা যায়। ক্রিকেটের নামী ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর হাতে এসেছে এমন প্রস্তাবনার কাগজ। সেটি থেকেই তারা জানাচ্ছে, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো উঠতি ক্রিকেট দেশের জন্য দরজা উন্মুক্ত করতে এবং জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো সংগ্রাম করা দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই প্রস্তাব।

এ নিয়ে নাকি আইসিসি সদস্য দেশগুলোর কাছে একটি ই-মেইল বা চিঠি পাঠানো হয়েছে। আইসিসির পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম চালানো গ্রুপ সেখানে লিখেছে কিভাবে অন্যদের জন্য পূর্ণ সদস্য পদের দরজা খুলে যেতে পারে আবার কারো জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অ্যাফিলিয়েট মেম্বরশিপ বলে যা আছে তা এই প্রস্তাবে বাতিল করা হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েট বা সহযোগী দেশগুলোকে পুরো সদস্যপদ পেতে অবশ্য নির্দিষ্ট বেধে দেওয়া ক্রাইটেরিয়া পূর্ণ করতে হবে। দুই বছর পর পর সহযোগী সদস্যদের মর্যাদা পর্যালোচনা করে দেখা হবে। তাতে তাদের জন্য পূর্ণ সদস্য হওয়ার পথটা আরো খুলে যাবে, একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যও তৈরি হবে।

আইসিসি তাদের সদস্যদের ই-মেইলে লিখেছে, ‘পূর্ণ সদস্যপদ আজীবনের জন্য নিশ্চিত কিছু নয়। নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে না পারলে একটি পূর্ণ সদস্য মেম্বরশিপ কমিটির সুপারিশে অ্যাসেসিয়েট মেম্বর হয়ে যেতে পারে।’ এই ই-মেইলে এটাও জানানো হয়েছে যে আইসিসিতে ‘বিগ থ্রি’ বলে কিছু থাকবে না। একটি শক্তিশালী মেম্বরশিপ কমিটি গড়া হবে। এই কমিটি সব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে কারা অ্যাসোসিয়েট সদস্য থেকে পূর্ণ সদস্য হবে এবং কারাই বা পূর্ণ সদস্য থেকে অ্যাসোসিয়েট সদস্য হয়ে যাবে।



মন্তব্য চালু নেই