হাত তালি দেয়ার ১০টি উপকারিতা যা জেনে আপনি অবাক হবেন

আমাদের জীবনের আনন্দদায়ক ও ভালো জিনিসগুলো যেমন- প্রমোশন, ভালো রেজাল্ট, কোন দিবসের উদযাপন এবং আরো অনেক কিছুর সাথে যুক্ত হাততালি দেয়া। মোট কথা আমাদের জীবনের সুখকর মুহূর্তের সাথে জড়িত হাততালি দেয়া। আমাদের শরীরে ৩৪০ টি প্রেশার পয়েন্ট আছে যার মধ্যে ২৮ টি থাকে হাতে। যে কেউ এই প্রেশার পয়েন্ট গুলোকে চিহ্নিত করে ম্যাসাজ করে উপকারিতা পেতে পারেন যাকে প্রেশার থেরাপি বলা হয়। এই প্রেশার পয়েন্টগুলো শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। অর্থাৎ আমরা আমাদের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ব্যথা উপশম করতে পারি এই প্রেশার পয়েন্ট গুলোকে উদ্দীপিত করার মাধ্যমে। হাততালির উপকারিতার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই চলুন।

১। হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের সাথে জড়িত রোগ অ্যাজমা নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে হাততালি দেয়া।

২। পিঠে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা ও জয়েন্টের ব্যথা কমতে সাহায্য করে হাততালি দেয়া।

৩। গেঁটে বাত থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে হাততালি দেয়া।

৪। নিম্ন রক্তচাপের রোগীদের জন্য ও উপকারী হাততালি দেয়া।

৫। পরিপাকের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী থেরাপি হাততালি দেয়া।

৬। শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এবং একাডেমিক পারফর্মেন্সের উন্নতিতে সাহায্য করে হাততালি দেয়া। যে শিশুরা নিয়মিত হাততালি দেয় তাদের স্পেলিং মিস্টেক বা বানানের ভুল কম হয়। হাতের লেখার উন্নতিতেও সাহায্য করে হাততালি দেয়া।

৭। শিশুদের মস্তিষ্ককে ধারালো হতে এবং কর্মঠ হতে সাহায্য করে হাততালি দেয়া।

৮। হাততালি দিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বলে রোগ ব্যাধি দূরে থাকে।

৯। ডায়াবেটিস, আরথ্রাইটিস, হাইপারটেনশন, চোখের সমস্যা, ডিপ্রেশন, দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা, সাধারণ ঠান্ডা, ইনসমনিয়া এবং চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন যারা তাদের জন্য উপকারী প্রতিদিন আধা ঘণ্টা হাততালি দেয়া।

১০। যাদের বাসায় এয়ার কন্ডিশন আছে এবং অফিসেও এসি রুমে বসে কাজ করেন তাদের শরীরে কম ঘাম হয়। তারা ক্লেপিং থেরাপি প্র্যাকটিস করতে পারেন। এর ফলে শরীরের রক্ত চলাচল ভালো হবে এবং শরীরের ছিদ্রগুলো উন্মুক্ত হয়ে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের হয়ে যেতে সাহায্য করবে।

ক্ল্যাপিং থেরাপি

হাতের তালুতে নারিকেল তেল বা সরিষার তেল লাগিয়ে মালিশ করে নিন যাতে তেল শরীরে শোষিত হয়। এই থেরাপির ফলে শরীরে যে এনার্জি ওয়েভ তৈরি হবে তা যেন লিক হয়ে না যায় এজন্য মোজা ও চামড়ার তৈরি জুতা পড়ে নিন। দুই হাত প্রসারিত করে ডান হাত দিয়ে বাম হাতে আঘাত করুন। হাত সোজা রাখুন এবং কিছুটা ঢিলা রাখুন। দুই হাতের তালু ও আঙ্গুলগুলো যেন পরস্পর বারি খায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। ভালো দলাফল পেতে এই থেরাপি সকালে করার চেষ্টা করুন।

প্রতিদিন সকালে ২০-৩০ মিনিট হাততালি দিলে আপনাকে ফিট ও সক্রিয় থাকতে সাহায্য করবে। আমরা আগেই জেনেছি যে হাততালি দিলে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া উদ্দীপিত হয়। আর রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া ভালোভাবে হলে ধমনী ও শিরার বাঁধা এমন কি খারাপ কোলেস্টেরলও দূর হয়।

হাতের যে ৫ টি আকুপ্রেশার পয়েন্ট আলোড়িত হয় সেগুলো হল

– হেন্ড ভ্যালি পয়েন্ট

– বেজ অফ থাম্ব পয়েন্ট

– রিষ্ট পয়েন্ট

– ইনার গেট পয়েন্ট

– থাম্ব নেইল পয়েন্ট

এই প্রেশার পয়েন্টগুলো উপরে উল্লেখিত স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলোর সাথে সম্পর্কিত যাদেরকে হাততালি দেয়ার মাধ্যমে কার্যকরী করা যায়।



মন্তব্য চালু নেই