হাতে মাত্র ১৮ টাকা! ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে কী উপহার কিনেছিলেন সোহিনী?

সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। আর প্রেম নিয়ে ব্যোমকেশের স্ত্রী সত্যবতীর থেকে ভালো পরামর্শ কেই বা দিতে পারে। তাই প্রেমদিবসের আগে বড়পর্দার সত্যবতী তথা অভিনেত্রী সোহিনী সরকারকে প্রশ্ন করল এবেলা ওয়েবসাইট— প্রেমদিবস নিয়ে কী ভাবেন অভিনেত্রী?

‘ভ্যালেন্টাইনস ডে-টা সেভাবে ফিল করার জন্য মনে হয় আমার বয়স হয়ে গিয়েছে। সামনেই বসন্তকাল। আমি প্রত্যেকদিনই প্রেমের জন্য নতুন কিছু ফিল করি। আলাদা করে ভ্যালেন্টাইনস ডে-র অনুভূতি বলে এখন কিছু নেই’।

তবে ছোটবেলায় প্রেমদিবস নিয়ে যথেষ্টই উচ্ছ্বসিত ছিলেন সোহিনী। বললেন, ‘‘হ্যাঁ, ছোটবেলায় আলাদা করে মনে হতো যে ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইনস ডে আসছে। যবে থেকে এইসব প্রমিস ডে, টেডি ডে, চকোলেট ডে নিয়ে মাতামাতি শুরু হল, তখন থেকেই। আমার মনে আছে, প্রথম ভ্যালেন্টাইনস ডে-র গিফট কিনেছিলাম যখন, আমার কাছে ১৮ টাকা ছিল।

তার মধ্যে ছিল একটা ১০-১২ টাকার সস্তা কার্ড, একটা ৫ টাকার চকলেট আর একটা গোলাপ ফুল। তখন গোলাপ ফুলের দাম অনেক কম হতো। ১-২ টাকাতেও পাওয়া যেত।

তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়তাম। ওই ভ্যালেন্টাইনস ডে-টা আমার সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে। কিন্তু এখন আলাদা করে মনে হয় না যে গিফট দিই। গিফট পেতেও যে ভাল লাগে, এমন নয়। এখন ভ্যালেন্টাইনস ডে’র থেকেও বসন্তকাল আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পলাশফুল, কোকিলের ডাক এগুলোর মধ্যেই প্রেম লুকিয়ে থাকে’’।

প্রেমদেবী যাঁদের প্রতি সহায় নন, তাঁদেরকে পরামর্শও দিলেন অভিনেত্রী— ‘‘প্রেমদেবী বিষয়টা তো ঠিক লক্ষ্মীদেবীর সহায়ের মতো নয় যে যতক্ষণ তুমি ঘুমিয়ে থাকবে, ততক্ষণ তোমার ভাগ্যও ঘুমিয়ে থাকবে। এই সমস্ত কথা প্রেমের ক্ষেত্রে খাটে না। এটা কখন হয়ে যায়, বলা যায় না।

‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-তে এইরকম একটা ব্যাপার ছিল যে যখন তুমি দেখা করবে, তখন উপর থেকে ইশারা হবে। এইসব কিচ্ছু হয় না। কিন্তু কিছু একটা হয় যেটা মনের ভিতর হয় এবং শুধুমাত্র তুমিই জানবে। আর প্রেম করতে হবে বলে করবে এমনটা নয়। এটা কোনও কাজ না, হওয়ার হলে হয়ে যাবে।’’



মন্তব্য চালু নেই