‘হলে সিট বণ্টনে বিশৃঙ্খলা অস্থিরতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলে ছাত্রলীগের জোর করে সিট দখলের চেষ্টা, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের নাজেহাল এবং গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত ও ইনস্টিটিউটে রূপান্তরের অজুহাতে কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন এবং আন্দোলন কর্মসূচি পালনের নামে যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে একটি গোষ্ঠীর অস্থিরতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা বলে মনে করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

শনিবার দুপুরে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন হলে সিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে পরস্পরের প্রতি দোষারোপ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা এবং একদল উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র কর্তৃক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের নাজেহাল করা হয়েছে। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত ও ইনস্টিটিউটে রূপান্তরের অজুহাতে রাস্তাঘাটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আন্দোলন ও আন্দোলন কর্মসূচি পালনের নামে যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টিসহ একটি গোষ্ঠী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অস্থিরতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এতে যেমন শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, তেমনি আইন-শৃঙ্খলার অবনতিরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমরা মনে করি এ ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের অর্থ দাঁড়ায় দেশের চলমান অগ্রগতিকে শ্লথ করে দেয়া।

তারা বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রের ন্যায় শিক্ষা ক্ষেত্রেও অনেক কিছু অর্জিত হয়েছে। শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ও উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সেশন জট নেই বললেই চলে।

এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট মহলের আন্তরিক চেষ্টা ও সহযোগিতার কারণে। শিক্ষাক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোর অর্জনকে আরও সংহত ও বেগবান করার লক্ষ্যে শিক্ষাঙ্গনে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে এবং শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ রক্ষার্থে শিক্ষক সমিতি সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানায়।



মন্তব্য চালু নেই