হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার না হলে অনশন

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক লীগ ও আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। তবে পুলিশি বাধার মুখে গুলশান-২ নম্বরের গোলচত্বরে অবস্থান নেয় সংগঠন দুটির নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সড়ক পরিবহণ শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গোলচত্বরের পাশে আলম মার্কেটের গুলিতে সমাবেশ করে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা গোলচত্বরে আসেন। জাতীয় রিক্সা ভ্যান শ্রমিক লীগ, ঢাকা অটো রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন, ঢাকা জেলা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানার দেখা গেছে। গোলচত্বরের দাড়িয়েই তারা অবরোধ বিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। তাদের অবস্থানে ওই এলাকায় স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।

যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে গুলশান চত্বরে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ৮৬ নং রোডে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনেও পুলিশ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।

সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ একাত্মতা প্রকাশ করে। সমাবেশ শেষে নেতা-কর্মীরা বিএনপি প্রধানের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেমে রওনা দিলে গোলচত্বরে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশি ব্যারিকেডে তারা সামনে এগুতে না পেরে সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এদিকে, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে র‌্যালি নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় অভিমুখে রওনা হয়েছে সম্মিলিত গাড়িচালক সমিতি ও গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারাও বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘেরাও করবে।

এদিকে, যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সকাল থেকে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বরে বিপুলসংখ্যক পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। গোলচত্বরে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ।

এর আগে ২১ জানুয়ারির মধ্যে খালেদা জিয়া দেশব্যাপী অবরোধ প্রত্যাহার না করলে ২২ জানুয়ারি তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয় সংগঠনগুলো।



মন্তব্য চালু নেই