হঠাৎ পানির তেষ্টা বাড়ে কেন?

গত কয়েক দিন থেকে বারবার চেষ্টা পাচ্ছে। দিনে ৩-৪ লিটার পানি পানের পরও তেষ্টা যেন মিটছেই না।

শরীরে লবণ এবং পানির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলেই সাধারণত এমন সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু মিনিটে মিনিটে তেষ্টা লাগাটা মোটেও ভালো নয়। এমনটা হওয়া কোনো জটিল রোগের লক্ষণও হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের কারণেও শরীরে পানিরশূন্যতা দেখা দেয়। তাছাড়া মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা, ডায়ারিয়া, বারংবার বমি হওয়া, ঘাম প্রভৃতি কারণেও পানির তেষ্টা বেড়ে যেতে পারে।

তবে বোল্ডস্কাইয়ের বিশেষজ্ঞদের মতে, হঠাৎ পানি তেষ্টা বেড়ে যাওয়া আর কী কী রোগে লক্ষণ তা নিম্নে আলোচনা করা হল;

ডায়াবেটিস: রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কিডনির ওপর প্রবল চাপ পড়ে। ফলে বারংবার প্রস্রাব হতে শুরু করে। আর এমনটা হলেই শরীরে পানির স্বাভাবিক মাত্রা কমে যায় এবং বারবার তেষ্টা পেতে থাকে।

পিরিয়ডের সময়: মাসের এ সময়ে মেয়েদের পানি তেষ্টা খুব বেড়ে যায়। কারণ এ সময় ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোন মাত্রাতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যায়। যার কারণে শরীরে পানির মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে মিনিটে মিনিটে তেষ্টা পেতে থাকে।

মুখ শুকিয়ে গেলে: মুখ গহ্বর শুকিয়ে যাওয়ায় অনেকের পানির তেষ্টা বেড়ে যায়। তবে অনেক কারণে মুখ শুকিয়ে যেতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঠোঁটের মিউকাস মেমব্রেন ড্রাই হয়ে যাওয়ার কারণেই মুখ গহ্বর শুকিয়ে যায়।

অ্যানিমিয়া: শরীরে রক্তের অভাব দেখা দিলে অনেক সময় পানি তেষ্টা খুব বেড়ে যায়। এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা দিলে শরীর, কমে যাওয়া রক্তের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করে। যে কারণে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয় এবং তেষ্টা বেড়ে যায়।

রক্তচাপ: রক্তচাপ কমে গেলে মাথা ঘোরা, অবসাদ, অ্যাংজাইটি এবং মাত্রাতিরিক্ত পানি তেষ্টা পাওয়ার মতো লক্ষণগুলো দেখা দেয়।

ডায়াবেটিস ইনসাইপিডাস: এটি খুবই বিরল রোগ। এক্ষেত্রে শরীরে হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো না হওয়ার কারণে শরীর দ্বারা পানির শোষণ ঠিক মতো হয় না। সেই সঙ্গে বেশি মাত্রায় প্রস্রাব হওয়ার কারণেও শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে তেষ্টা বেড়ে যায়।



মন্তব্য চালু নেই