হঠাৎ তিস্তা ফিরে পেল প্রাণ

তিস্তায় পানি নেই, বলা যায় একেবারেই শূন্য। কিন্তু হঠাৎ করেই তিস্তায় পানির ঢল নেমেছে। থই থই করছে তিস্তার পানি। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে বিএনপির লংমার্চ তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় পৌঁছার আগেই পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। লংমার্চ মঙ্গলবার সকাল নয়টায় ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে।

মঙ্গলবার দুপুর থেকেই তিস্তা সেচ প্রকল্পের সবগুলো নালা ভরে গেছে কানায় কানায়। স্বস্তি ফিরেছে কৃষকদের মাঝে। পানির প্রবাহ বৃদ্ধি এখনও অব্যাহত আছে। ডালিয়া পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে তিন হাজার কিউসেক পানি।

পাউবো ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবার রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর থেকে হঠাৎ করেই তিস্তায় পানি বেড়ে গেছে। এখন তিন হাজার কিউসেক পানি পাওয়া যাচ্ছে। তবে পানি বাড়ার কোনো কারণ জানা যায়নি।

তিনি জানান, সোমবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের দোয়ানী পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল মাত্র ২৮০ কিউসেক। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পানির প্রবাহ ছিল ৩ হাজার ৫০ কিউসেক। ‍

এদিকে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করা বিএনপির লংমার্চ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের হেলিপ্যাড মাঠে বুধবার সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু লংমার্চ পৌঁছার আগেই তিস্তায় পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে লংমার্চটি গাইবান্ধায় অবস্থান করছে।

এ বিষয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু জানান, ‘অধিকার কিভাবে আদায় করতে হয় তা বিএনপি জানে। এটা বুঝতে পেয়েই ভারত আগে-ভাগেই পানি দিতে শুরু করেছে।’

এর আগে লংমার্চ সিরাজগঞ্জ পৌঁছলে স্থানীয় পথসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এ সরকার তিস্তা নদীর পানির হিস্যা আদায় করতে পারবে না। তারা জনবিচ্ছিন্ন একটি সরকার, তাই তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাছাড়া দরকষাকষির জন্য বাংলাদেশের হাতে থাকা সব হাতিয়ার তারা ভারতকে দিয়েছে। তিস্তার ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ভারত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই তিস্তা অভিমুখে আমাদের লংমার্চ কর্মসূচি।’

ফখরুল বলেন, জনগণের সঙ্গে এ সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা পানি বণ্টন চুক্তির মীমাংসা করতে পারবে না। অতিদ্রুত নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই