হঠাৎ কেউ অজ্ঞান হলে কি করবেন

অনেকের মধ্যেই এই সমস্যাটি থাকে। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে বা কাজ করতে করতে আচমকা অজ্ঞান হয়ে যান তারা। বেশ খানিকক্ষণ পর জ্ঞান ফেরে। কিন্তু, কেনো এভাবে তারা অজ্ঞান হয়ে যান? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত ৪টি কারণ থাকে।

১. নিম্ন রক্তচাপ : রক্তচাপ কমে গেলে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যান। এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে ৬০ থেকে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে মানুষজনের।

২. ডিহাইড্রেশন : শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে রক্তের মধ্যে জলীয় পদার্থের পরিমাণও কমে যায়। যার জন্য কমে যায় রক্তচাপ। স্নায়বিক দুর্বলতা দেখা দেয়। মানুষ অজ্ঞান হয়ে যান।

৩. ডায়াবেটিক : ডায়াবেটিক রোগীরা বার বার মূত্রত্যাগ করেন। ফলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যেতে থাকে। অত্যধিক সুগারে নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রক্তচাপ কমে যায়।

৪. হৃদরোগ : হার্টে সমস্যা থাকলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। যার ফলে মানুষ অনেক সময় অজ্ঞান হয়ে যায়। এ ধরনের সমস্যাকে বলা হয় কার্ডিয়াক সিনকোপ।

আপনার করণীয় কী?
১. প্রথমেই দেখতে হবে, শ্বাস আছে কি না? যদি থাকে, চিৎ করে শোয়াতে হবে।
২. শোয়ানোর পর, দুই পা ১২ ইঞ্চি উপরে তুলে রাখতে হবে, যাতে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বাড়ে।
৩. টাইট কাপড় পরা থাকলে, খুলে দিতে হবে। বিশেষ করে বুকের, গলার আর কোমড়ের।
৪. ঘাড়ের নিচে উঁচু কিছু রেখে, মাথা নিচে নামিয়ে, থুতনি উপরে রাখতে হবে, যাতে শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচলে বাধা তৈরি না হয়।
৫. শ্বাস বন্ধ থাকলে, কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে।

যদি শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক থাকে আর ৩ মিনিটের মধ্যে জ্ঞান না ফিরে আসে, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। আর শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ থাকলে সাথে সাথে নিকটস্থ ভালো চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

কেউ অজ্ঞান হলে কখনই যে কাজগুলো করবেন না
১. অজ্ঞান হওয়া রোগীকে খাবার বা পানীয় দেবেন না।
২. একা ফেলে কোথাও যাবেন না।
৩. বালিশ মাথার নিচে রাখবেন না।
৪. অজ্ঞান হয়ে যাওয়া রোগীর মুখে বা গালে চড়-থাপ্পড় মেরে জাগানোর চেষ্টা করবেন না।



মন্তব্য চালু নেই