হজের সঙ্গে রাজনীতি মেশাতে রাজি নন সৌদি বাদশা

পবিত্র হজের সঙ্গে রাজনীতি মেশাতে রাজি নন সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।

এ ধরনের সব পদক্ষেপ তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে হজ পালন নিয়ে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাদশা সালমান কথা বলেছেন।

এবার ইরানের প্রায় ৬৪ হাজার লোক পবিত্র হজ পালনে যাননি। হজের নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি ইরান। যে কারণে তারা এ বছর হজ পালন থেকে বিরত থেকেছে।

ডন অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রিয়াদ বলেছে, তেহরান হজের আনুষ্ঠানিতা পালনের বিষয়ে অংশ নিতে চায়। বিষয়টিকে রাজনৈতিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে রিয়াদ।

বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ভিআইপি হাজিদের উদ্দেশে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাদশা সালমান (৮০) বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে, এমন সব বিষয় প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব।

তেহরান অভিযোগ করেছে, ‘আল্লাহর পথে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব।’ সম্প্রতি পরস্পরকে আক্রমণ করে দুই দেশ এ ধরনের কথা বলে আসছে।

গত বছর হজে পদদলিত হয়ে হাজিদের মৃত্যুর পর হজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তেহরান। ইরানি কর্মকর্তাদের দাবি, গত বছর হজে প্রায় ২ হাজার ৩০০ হাজির মৃত্যু হয়। যদিও সৌদি সরকারের দাবি, নিহত হাজির সংখ্যা ৮০০ জনের মতো। যেসংখ্যাক হাজির মৃত্যু হোক না কেন, তার মধ্যে ইরানি হাজি ছিলেন ৪৬৪ জন। একক দেশে সবচেয়ে বেশি হাজি নিহত হয় ইরানের।

ইরান গত বছর দাবি করে, হজের অনুষ্ঠানিকতা পালনের দায়িত্ব শুধু সৌদি আরবের ওপর না রেখে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়া হোক। এর জবাবে সৌদি আরব সোজাসুজি না বলে দেয়। ফলে বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। যে কারণে এ বছর হজে অংশ নেননি ইরানিরা।



মন্তব্য চালু নেই