হজম সহায়ক খাবার

আপনার হজম শক্তি নিয়ে ভালই আত্মবিশ্বাস থাকতে পারে। কিন্তু হঠাৎ করে গড়বড় হবে না- এমন তো নয়। নিশ্চয় খুবই বিরক্তিকর সে অনুভূতি। পেটে জ্বালাপোড়া, পেট ফুলে থাকা, গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য আসলেই অস্বস্তিকর।

এ সব সমস্যাকে দূরে রাখার উপায় হল হজম শক্তিকে সবল করা। খাদ্যাভ্যাস ও পানীয় গ্রহণের শৃঙ্খলার মাধ্যমে এটা সম্ভব। তেমন কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের খবর নিচে দেওয়া হল-

আঁশ জাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। সবল অন্ত্রের জন্য আঁশসমৃদ্ধ খাদ্যশস্য, ফলমূল ও সবজি গ্রহণ করুন। অনেকের ক্ষেত্রে সেরিয়াল বা খাদ্যশস্য সমস্যা তৈরি করে। তারা ফল ও সবজি খেতে পারেন নিয়মিত।

পানির গুণাগুণ কে না জানে! পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। পানি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। আঁশ জাতীয় খাবার পানি শোষণে সহজ করে দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা শুধু আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণ করলেই সমাধান হয় না, পানিও প্রয়োজন।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৪-৬ গ্লাস পানি পান করুন। ক্যাফেইন-সমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে চলুন।

চর্বি জাতীয় খাবার, বিশেষ করে ফাস্ট ফুড ও ভাজা খাবার হজম সহায়ক নয়। এ সব খাবারের কারণে পাকস্থলীতে ব্যথা ও হৃদপিণ্ডে জ্বালাপোড়া হয়। এরা পাকস্থলীর কাজও বাড়িয়ে দেয়। চর্বিহীন মাছ, মাংস খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফ্রাই খাবারের চেয়ে গ্রিল খাবারে জোর দিন।

মসলাদার খাবারের স্বাদই আলাদা। কিন্তু এগুলো হজমসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যার জন্য দায়ী। খাবারে কম মসলা ব্যবহার করুন, সুস্থ থাকুন।

নির্দিষ্ট কিছু খাবারে আপনার সমস্যা থাকতে পারে। যেমন; অনেকের বিশেষ বিশেষ খাবারে হৃদপিণ্ডে জ্বালাপোড়া, বদহজম, ডায়রিয়াসহ নানান সমস্যা দেখে দেয়- এ সব খাবার এড়িয়ে চলুন।

সঠিক পানীয় বেছে নিন। ক্যাফেইন-সমৃদ্ধ কফি, কোলা, চা ও কার্বনেট পানীয় পাকস্থলীতে এসিডের পরিমাণ বাড়ায়। এতে পেটে জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই ওই ধরনের পানীয়ের বদলে ভেষজ চা, দুধ ও পানি পান করুন।

হজমশক্তি বাড়ানোর চমৎকার দাওয়াই হল দই। সমস্যা না থাকলে নিয়মিত দই খান সুস্থ থাকুন।



মন্তব্য চালু নেই