‘স্মার্ট’ হতে গেলে কোন সাত কাজ করা যাবে না? জেনে নিন…

আবেগকে যারা ‘স্মার্টলি’ ব্যবহার করেন, তারা কর্মক্ষেত্র তো বটেই, এমনকি এই অতি চেনা জগতকেও একটা উন্নত জায়গায় পরিণত করতে পারেন৷ বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে তারা কী কী কাজ কখনই করেন না৷

পূর্বধারণা
আবেগের দিক থেকে যারা স্মার্ট, অর্থাৎ আবেগকে যারা বুদ্ধিমানের মতো ব্যবহার করেন, তারা পূর্ব ধারণাকে গুরুত্ব দেন না৷ তাদের জানার কৌতূহল থাকে৷ ফলে অজানা বিষয়ে আগেভাগে মন্তব্য না করে তা জানার চেষ্টা করেন তারা৷ খোলামনে প্রশ্ন করেন এবং অন্যের প্রশ্ন শোনেন, ফলে নিজেকে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরতে পারেন৷

নেতিবাচকতা
মনস্তাত্ত্বিকরা দেখেছেন, আবেগের দিক থেকে যারা স্মার্ট তাদের ‘ইকিউ’, অর্থাৎ ‘ইমোশনাল কোশেন্ট’ বেশি থাকে৷ যাদের ইকিউ বেশি, তারা বেশির ভাগ সময়ই ইতিবাচক৷ নেতিবাচকতাকে তারা গুরুত্ব দেন না৷ তাদের সম্পর্কে অন্যের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকেও তারা নিজের ওপর প্রভাব ফেলতে দেন না৷

অন্যের আবেগের গুরুত্ব
যাদের ইকিউ বেশি, তারা কখনও অন্যের আবেগকে অগ্রাহ্য করেন না৷ সহকর্মী বা ক্রেতার অনুভূতি বোঝার সামর্থ কর্মক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে৷

পরিবর্তন
উচ্চ ইকিউসম্পন্ন মানুষ পরিবর্তনকে ভয় না পেয়ে তাকে বরং স্বাগত জানান৷ জীবনে পরিবর্তনের গুরুত্ব তারা অনুধাবন করতে পারেন এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে সহজেই মানিয়ে নেন৷

নিজের ক্ষমতা এবং সীমাবদ্ধতা
উচ্চ ইকিউসম্পন্ন মানুষ নিজের ক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সবসময় সচেতন৷ তাঁরা বুঝতে পারেন, সীমাবদ্ধতা কখনই উন্নতির পথে অন্তরায় নয়৷ কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ সম্পর্কেও তাই তারা সচেতন৷ ফলে কোন কোন জায়গায় নিজের উন্নতি দরকার, তা নিয়ে ভেবে উন্নতির উপায়ও বের করে নেন তারা৷

ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া
নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া খুবই দরকার৷ উচ্চ ইকিউসম্পন্ন মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারেন৷ ফলে কর্মোদ্যম অটুট থাকে তাদের৷ কোনও কাজ সবসময়ই একেবারে নির্ভুলভাবে করা সম্ভব নয় এবং সব ক্ষেত্রে চূড়ান্ত দক্ষতা অর্জনও অসম্ভব – এটা জানেন বলেই হয়ত তারা ভুল থেকেও শেখেন৷

কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনে ভারসাম্য
উচ্চ ইকিউসম্পন্ন মানুষের কাজ আর ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সীমারেখা টানায় দক্ষতা থাকে৷ তাঁরা সারাক্ষণ শুধু কাজ নিয়ে থাকেন না৷ পেশাগত জীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্ব বোঝেন বলে কাজের বাইরেও তাদের আগ্রহের একটা জগত থাকে৷ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস তাঁদের সুস্থ জীবনেরও নিশ্চয়তা দেয়৷



মন্তব্য চালু নেই