স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কের আদর্শ সময় হচ্ছে…

যৌন মিলনের আদর্শ সময় কখন, এই প্রশ্নের উত্তর ঘিরে বিজ্ঞানে নানা মুনির নানা মত। বহু মানুষ মিলনের সময় হিসেবে রাতকেই বেছে নেন। একদল বিজ্ঞানীর মত, গোটা বিষয়টিই যতটা না শারীরিক, তারচেয়ে অনেকটাই বেশি কাজ করে মানসিক স্বস্তি। সুত্র-এই সময়

আসলে বিছানায় শুতে যাওয়ার পর যে দীর্ঘ সময় একে অপরকে পাওয়া যায় কাছাকাছি, তা খানিকটা মানসিক স্বস্তি দেয় পুরুষ-নারী উভয়কেই। বিশ্রামের মেজাজে নিরুপদ্রব সময় হিসেবেই তারা বেছে নেন রাতটিকে। আধুনিক বিজ্ঞান কিন্তু অন্য কথা বলছে। বর্তমান গবেষকরা রাতের চেয়ে, সকালকেই রতিক্রিয়ায় সেরা সময় বলছেন।

চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা এর জন্য ৫টি কারণকে বেছেছেন। পাঠকদের জন্য রইল সেই কারণগুলি।

১. বিজ্ঞানীরা বলছেন, একটা চনমনে ভালো দিন শুরু করতে সকালে সেক্স ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। ভোরে পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যেই টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বেশি মাত্রায় হয়। তাই ওই সময় মিলন হলে এন্ডোরফিনস হরমোনের ক্ষরণও বেড়ে যায়। যার ফলে সারা দিন মেজাজ ভালো থাকে। দিনের শুরুতেই মন ভালো হয়ে যায়।

২. আধুনিক ব্যস্ত জীবনে, রাতে অনেকেই ক্লান্ত থাকেন। ক্লান্ত শরীরে মিলনে অনীহা তৈরি হয়। সকালে ঘুম ভাঙার পর সেই ক্লান্তি থাকে না। ফলে ন্যাচারাল সেক্স হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ন্যাচারাল সেক্সের উপকারিতা হল, ত্বকে জেল্লা আসে, চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়। সর্বোপরি অল্প বয়সে বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

৩. সুস্থ থাকার জন্যও সকালের সেক্সের জুড়ি নেই বলেই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। চিকিত্সকরা বলছেন, ভোরে মিলন হলে শরীরে ইমিউনোগ্লোবিন-A-র মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায়। সুস্থ ও চনমনে থাকে শরীর।

৪. বর্তমান প্রযুক্তির যুগে দিনের একটা দীর্ঘ সময়ই স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেটের মধ্যে কাটে। রাতে শোওয়ার পরেও নানা চিন্তা-ভাবনা মাথায় ঘোরে। অনেকটা সময় ঘুমের পর এই চিন্তাগুলি মাথা থেকে সরে যায়। ফলে যৌনমিলনে শরীর নির্ভেজাল ভাবে সাড়া দেয়।

৫. ভোরেই সবচেয়ে বেশি যৌন আকাঙ্খা বাড়ে পুরুষের। চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা বলছেন, সকালে সবচেয়ে বেশি টেস্টোস্টেরন ক্ষরণ হয় পুরুষের। কারণ, শরীর ও মন উভয়ই রিল্যাক্সড থাকে।



মন্তব্য চালু নেই