‘স্বামীর কাছে হিটলারি শিখেছেন খালেদা’

আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘এই সরকার নয়, জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে হিটলারি শাসন শিখেছেন খালেদা জিয়া।’

রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল শনিবার নাটোরে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

‘সরকার এখন হিটলারের রূপে আবির্ভূত হয়েছে’, গতকাল নাটোরে দেওয়া খলেদা জিয়ার এমন বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া কী, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বামী একজন হিটলার ছিলেন। তার কাছ থেকে খালেদা জিয়া হিটলারি শিখেছেন। তিনি খুন, গুম ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে হিটলারি কায়দায় ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাই তিনি এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন। কিন্তু তাকে বলে দিতে চাই, শাক দিয়ে মাছ ঢেকে পার পাওয়া যাবে না।’

নানক বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশব্যাপী যান্ত্রিক ক্রটির কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটকে কেন্দ্র করে বালখিল্যপনা উক্তি করেছেন। দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা কারো কাম্য নয়। কিন্তু দুবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মুখে উচ্চারিত হয়, তার জনসভায় সম্প্রচার কার্যক্রম বিঘ্নিত করতেই নাকি বিদ্যুৎ বিভ্রাট সৃষ্টি করা হয়েছে। এটা প্রমাণ করতে যদি ব্যর্থ হন, তাহলে নাকে খত দিয়ে খালেদার রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়া উচিত।’

খালেদা কোন পরিসংখ্যান সামনে রেখে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে এ ধরনের কথা বললেন বলেও প্রশ্ন করেন প্রাক্তন এই এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী।

নানক বলেন, ‘গতকাল নাটোরে খালেদা জিয়া এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। তার এ বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করার ব্যর্থ প্রয়াস ছাড়া কিছুই নয়। তার এই দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যে আওয়ামী লীগ বিস্মিত নয়। কারণ গণতন্ত্রের প্রতি খালেদার অনাস্থা, অবিশ্বাস্য এবং অশ্রদ্ধা ইতিপূর্বে আমরা বহুবার দেখেছি। বন্দুকের নল দিয়ে রাতের অন্ধকারে পেছনের দরজা দিয়ে তারা ক্ষমতায় গিয়েছেন।’

‘আর কখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না’, খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়া কি আলাউদ্দিনের চেরাগ, নাকি মামার বাড়ির মোয়া। ক্ষমতা দখলের আশায় সুদূর পরাহত হয়ে খালেদা জিয়া এখন দিশেহারা। রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে বেসামাল ও অসত্য বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন।’
‘বাংলাদেশের মধ্যপ্রাচ্যে কোন বন্ধু নেই’, খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্য মিথ্যা দাবি করে নানক বলেন, ‘আমাদের সরকারের দৃঢ় কূটনৈতিক প্রয়াসের কারণেই সৌদি আরবে ইকামা পরির্বতন এবং ৮ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক বৈধভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন। সরকারের কর্মপরিকল্পনার কারণেই মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া জনশক্তি রফতানি চালু হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড.দীপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আবদুল মান্নান, উপদফতর সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই