স্বর্গের শান্তি শোবার ঘরে!

দিনের বেশিরভাগ সময় কাজের তাগিদে বাইরে থাকতে হয়। খুব অল্প সময়ই নিজের প্রিয় ঘরটিতে থাকার সুযোগ আসে। তবে সব ক্লান্তি দূর করতে আরাম আর বিশ্রামের একমাত্র নির্ভরতা নিজের শোবার ঘর। তাই বলতেই হয়, সে ঘরটি যদি সুন্দর আর প্রশান্তির জায়গা না হয়, তবে আরামের পুরোটাই মাটি। আপনার আরামকে নিশ্চিত করতে সামান্য কিছু অর্থ খরচ করলেই চলে। সাধারণ কিছু জিনিসের ব্যবহারেই শোবার ঘরটিকে সাজিয়ে তুলতে পারেন স্বর্গতুল্য করে।

আরামের পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেমন প্রথমেই রঙের বিষয় পরে ডিজাইন আসে, তেমনি শোবার ঘরকে দৃষ্টিনন্দন করতে প্রথমেই তার দেয়ালের রং নজরে আসে। হালকা বা গাঢ় যে রং আপনার পছন্দ সেটা দিয়েই ঘরের দেয়ালকে রাঙাতে পারেন। শীতল ভাব আনতে দেয়ালে হালকা রং, হালকা রঙের বাতি, হালকা রঙের দরজা-জানালার পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। রগরগে আবেশ আনতে ব্যবহার করতে পারেন উজ্জ্বল রং। আবার হালকা গাঢ়র মিশ্রণেও সাজাতে পারেন প্রিয় ঘরটি।

একটু খানি সবুজের ব্যবহার আপনার ঘরের সজ্জাকেই পাল্টে দেবে। মুহূর্তেই ঘরটি হয়ে উঠবে প্রশান্তিময়। একটু খুঁজলেই পাবেন হরেক রকমের ইনডোর প্ল্যান্ট, নিজের পছন্দসই দেখে কিনে ফেলুন কয়েকটি আর রেখে দিন শোবার ঘরের মানানসই বিভিন্ন জায়গায়। তারপর দেখুন, মনটাও কেমন সতেজ লাগে। শোবার ঘরের সঙ্গে বারান্দা থাকলে সেখানেও অবশ্যই গাছ রাখুন।

শোবার ঘরে অল্প জিনিসে ছিমছাম রাখুন। ফার্নিচার, সাধারণ গৃহসজ্জার জিনিস গুছিয়ে রাখুন। শোবার বিছানাটা সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা চাই-ই। প্রয়োজনীয় বালিশ কাঁথাও থাকা চাই। নরম তুলতুলে পরিচ্ছন্ন বিছানা শান্তির ঘুমকে পূর্ণতৃপ্তি দেবে। মাটির শো পিস ঘরে নিয়ে আসে একটি রুচিশীল প্রশান্তি। ঘর সাজাতে খুব ফ্যান্সি জিনিসের বদলে মাটির জিনিস ব্যবহার করতে পরেন। কার্পেট না রেখে শতরঞ্জি ব্যবহার করতে পারেন, একটি বড় আয়না রাখুন। ঘরটিকে অনেকটা বড় ও খোলামেলা লাগবে। দেখবেন নিজের শোবার ঘরকেই মনে হবে এক টুকরো স্বর্গ।



মন্তব্য চালু নেই