স্বরূপে ফিরছে রাজধানী ঢাকা

১৫ মিনিটের পথ যেতে লাগবে এক ঘণ্টা, ফুটপাতজুড়ে মানুষের গাদাগাদি, বাসে চাপাচাপি, পথেপথে জট, পরিবহন সঙ্কট। রাজধানী ঢাকার জীবন মানেই এসব।

কিন্তু নাড়ির টানে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজ গ্রামে ফিরে গিয়েছিলো রাজধানীবাসী। সে কারনে গত কয়েক দিন ফাঁকা ছিলো যান ও জনজটের নগরী রাজধানী ঢাকা। পথে পথে ছিলো না চিরচেনা দুর্ভোগ, পথচারীদের ভিড়। কিন্তু ঈদের ছুটি শেষে কর্মজীবী মানুষ ফিরতে শুরু করায় আড়মোড়া ভেঙ্গে স্বরুপে ফিরছে রাজধানী ঢাকা।

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন নগরবাসী। তাই কর্মচঞ্চল্যতায় জেগে উঠছে শহর। যদিও কর্মজীবী মানুষ ছাড়া অন্য যারা রাজধানীতে থাকেন তারা অনেকেই এখনও ফিরেননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আর কয়েকদিনের মধ্যেই পুরোপুরি আপন চেহারায় ফিরবে রাজধানী।

রাজধানীর চের চেনা রুপের ব্যতিক্রম ঘটে প্রতি বছর দুই ঈদকে ঘিরে। শিক্ষা বা জীবিকার তাড়নায় ঢাকায় পড়ে থাকা মানুষগুলো এসময় ছুটে যান নাড়ির টানে গ্রামে। এসময় চিরচেনা রাস্তাগুলোকে অচেনা মনে হয়।বেশি গাড়ি চোখে পড়ে না। যানজটে নাকাল নগরবাসী মুহূর্তেই এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে চলে যান বাধাহীনভাবে। ঈদের ছুটির কয়েকদিন রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল সব থাকে বন্ধ। থাকে না পথে পথে যান ও জনজটও।

ঈদের ছুটি শেষে এ অবস্থার ইতি টেনে এখন আবার রাজধানীর রাস্তায় চোখে পড়ছে যান ও জনজট, গণপরিবহনের জন্য মানুষের অপেক্ষা, কর্মব্যস্ত মানুষের হেঁটে চলা, যানবাহনের বিরক্তিকর হর্ণ।

এবিষয়ে রাজধানীতে ভাড়ায় চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা চালক আক্কাস আলী বলেন, ঈদের ছুটির কারনে গত কয়েকদিন রাজধানী ছিলো একেবারেই ফাঁকা। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে সময় লেগেছে একেবারেই কম। যাত্রীসহ চালকরাও রাজধানীতে চলাচল করে পেয়েছি অন্য রকম এক স্বস্তি। কিন্তু রাজধানী এখন আবার চির চেনা রুপে ফিরে আসছে। আবার শুরু হয়েছে যানজট।

এ বিষয়ে রাজধানীর বাসাবোর স্থায়ী বাসিন্দা এরশাদ আলী বলেন, ঈদের সময় রাজধানীর যানজটহীন ফাঁকা অবস্থা যদি সব সময় থাকতো তাহলে কতই না ভালো হতো! ঢাকা যে খুব সুন্দর শহর এটা কেবল ঈদের সময় বোঝা যায়, যখন পুরো রাজধানীই থাকে ফাঁকা। কিন্তু ঈদের ছুটি শেষ করে এখন সবাই আবার ঢাকামুখী, তাই আবারো পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে চিরচেনা রাজধানী।



মন্তব্য চালু নেই