স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার

ভারত, পরাশক্তির দেশ চীন, জাপান ও মিয়ানমারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সারা দেশেই পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চল। বিশাল এই চ্যালেঞ্জ অর্জনে সরকার সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে ৬৫টি, বাকি ১০টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল। আগামী এক বছরের মধ্যে বাকি ২৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।

২০০৯ সালে প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পরপরই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন কর্মসংস্থানের জন্য দেশের সব জেলায় একটি করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবেন।

স্বাধীনতার চার দশক পর এই প্রথম আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাতে ব্যাপক সাড়াও মিলেছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে এরই মধ্যে চীন, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছে। ‘সরকারের অন্যান্য দপ্তরের মতো বেজাতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নেই’ বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে এরই মধ্যে দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

এরই মধ্যে দেশের বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গ্রুপ বসুন্ধরাসহ ১০টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য প্রাথমিক লাইসেন্স দিয়েছে বেজা। এখন পর্যন্ত যে ১০টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি, মেঘনা গ্রুপের দুটি, এ কে খান গ্রুপ, আবদুল মোনেম লিমিটেড, বে গ্রুপ ও আমান গ্রুপ উল্লেখযোগ্য।

অর্থনৈতিক অঞ্চলে যাওয়ার জন্য ২০ কিলোমিটারের চার লেন সড়কের কাজও চলছে দ্রুতগতিতে। মিরসরাইয়ে বিনিয়োগ করতে চীন, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশের উদ্যোক্তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী বছরের মধ্যে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের অগ্রগতি সাধারণ মানুষের কাছে দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী বলেন, ‘দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি যে আমরা কাজ করতে এসেছি। কাউকে হয়রানি করতে আসিনি। বিনিয়োগকারীরা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে।’



মন্তব্য চালু নেই