স্বপ্নের দেশ সিঙ্গাপুর

রাশিদুল ইসলাম জুয়েল, সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি: সিঙ্গাপুরদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহাদেশের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। দেশটি মালয় উপদ্বীপের নিকটে অবস্থিত। এর সরকারী নাম প্রজাতন্ত্রী সিঙ্গাপুর

দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ৫০ লক্ষ। আয়তন কম হওয়ায় দেশটি জনসংখ্যা ঘনত্বের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয়। এই দেশটি আয়তনে ছোট হলেও বিশ্বের অর্থনীতিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। সিঙ্গাপুরের পোর্ট বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বাণিজ্যিক পোর্ট।

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বিলাসবহুল দেশ এটি। সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে নামলেই আপনি বুঝবেন যে এটি বিশ্বের সেরা কয়েকটি এয়ারপোর্টের মধ্যে একটি। বাস হোক প্রাইভেট কার হোক ট্রাফিক সিগন্যাল অথবা জ্যামের মত বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা লাগবে না। আর রাস্তার দুই পাশ সুন্দর গাছ দিয়ে সাজিয়ে রাখার জন্য আপনার সফরকে আরো আরামদায়ক করে তোলে।

সিঙ্গাপুর বিষুবরেখার মাত্র ১ ডিগ্রী উত্তরে অবস্থিত বলে এখানকার জলবায়ু নিরক্ষীয় প্রকৃতির। নিচে সিঙ্গাপুরের কয়েকটি বিলাসবহুল এবং পর্যটক আকর্ষন করার মত জায়গার বিস্তারিত দেওয়া হল…

নাইট সাফারী:

সিঙ্গাপুর চিড়িয়াখানা, পৃথিবীর প্রথম ও একমাত্র নাইট সাফারী। নাইট সাফারীতে গভীর রাতে জঙ্গলের ভিতরের নানান পশুপাখিদের মাঝ দিয়ে ট্রামে করে পর্যটকরা বিচড়ন করেন। বাঘ, হরিণ, ভালুক, হাতি, উট, কুমির এ সাফারীর প্রাণিদের মধ্যে অন্যতম। এ সাফারীতে পশুপাখিরা উন্মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায়।

মারলাওন পার্ক:

মারলিন বা সিংহ-মৎস্য হচ্ছে সিঙ্গাপুরীদের গর্বের প্রতীক, বীরত্বের প্রতীক। কথিত আছে বহু পূর্বে সিঙ্গাপুর যখন তেমাসেক বা সমূদ্রনগরী নামে পরিচিত ছিলো তখন প্রচণ্ড এক সামুদ্রিক ঝড় ওঠে দ্বীপে। অধিবাসীরা যখন নিজেদের স্বপে দেয় ঈশ্বরের হাতে ঠিক তখনই সমুদ্র থেকে সিংহ-মৎস্য আকৃতির এক জন্তু এসে ঝড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাচিয়ে দেয় অধিবাসীদের। আর সে থেকে মারলিন নামের সিংহ-মৎস্য সিঙ্গাপুরীদের গর্ব আর বীরত্বের প্রতীক। মারলিনের মূর্তি ম্যারিনা বে-এর মারলাওন পার্কে অবস্থিত।

সেন্টোসা আইল্যান্ড: সমুদ্রের মাঝে ছোট এক দ্বীপে গড়ে তোলা বিনোদন কেন্দ্র।

বিশ্বের ধনী দেশের তালিকায় শীর্ষে সিঙ্গাপুর। দেশটির নাগরিকদের বার্ষিক গড় আয় ৬১ হাজার ৫৬৭ মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিঙ্গাপুরের গগনচুম্বী উন্নয়ন ঘটেছে। মুক্ত বাণিজ্য ও উদার করব্যবস্থার কারণে সিঙ্গাপুর এখন বিশ্বের বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সারা বিশ্বের বিনিয়োগের অন্যতম লক্ষ্য সিঙ্গাপুর। আইএমএফের বিশ্লেষণমতে, দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটির জনপ্রতি বার্ষিক আয় ২০১৮ সালের মধ্যে ৭৭ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে।



মন্তব্য চালু নেই