স্ত্রী ভেবে দাফনের সময় জীবিত স্ত্রীর ফোন, অত:পর…

স্ত্রীকে কবরে দফনের সময়, জীবিত স্ত্রীর ফোন এলো। তারপর পুর ঘটনাটায় পাল্টিয়ে গেল। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কাটাশকোল গ্রামে। কয়েকদিন আগে নজরুল ইসলামের স্ত্রী রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করে কোথাও স্ত্রীর খোঁজ মিলছিলো না।

এসময় নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে তাঁর লাশ ভেবে এক নারীর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেই লাশ ঘিরে আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা আহাজারি করছিলেন। লাশ দাফনের জন্য কবর খনন করা হয়। এমন সময় নজরুলের মুঠোফোনে ফোন আসে তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে। গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

বড়াইগ্রাম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনা বেগম বলেন, গত বুধবার বাগাতিপাড়া উপজেলার বিলগোপালহাটি এলাকা থেকে মস্তকবিহীন এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটির কোনো ওয়ারিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। গতকাল শুক্রবার নজরুল দাবি করেন, লাশটি তাঁর স্ত্রী আশরাফুন বেগমের। তাঁর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে শুক্রবার বিকেলে তাঁকে লাশ দেওয়া হয়। তিনি লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরেন। রাতে দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হয়।

ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আশরাফুনের মেয়ে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ শুনে রাতেই ঢাকা থেকে নাটোরের উদ্দেশে রওনা দেন। বাসে আসার পথে হঠাৎ মা আশরাফুনের ফোন পান মেয়ে। মেয়ের কাছে বিস্তারিত জেনে আশরাফুন তাঁর স্বামী ও স্বজনদের কাছে ফোন করেন। পরে সবাই নিশ্চিত হন ওই মস্তকবিহীন লাশটি আশরাফুনের নয়। পরে আজ শনিবার সকালে আশরাফুন বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর লাশটি পুনরায় নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নজরুল ইসলাম জানান, তাঁর স্ত্রী আশরাফুন বেগম পাঁচ দিন আগে তাঁর সঙ্গে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে বাগাতিপাড়া থানার পুলিশ অজ্ঞাতনামা এক নারীর মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে খবর পান তাঁরা। এরপর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশটি তাঁর স্ত্রীর বলে মনে হয়। পরে তিনি পুলিশের কাছে আবেদন করে লাশটি বাড়িতে নিয়ে আসেন।

বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, এখন মস্তকবিহীন লাশটি দাফনের জন্য আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই