স্ত্রীকে নকল করতে না দেওয়ায় শিক্ষক পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রীকে নকল করতে না দেওয়ায় শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। একই সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষকে গালাগাল করে হুমকি দিয়েছেন তিনি। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম আতিকুর রহমান পারভেজ। গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান পারভেজ।

সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের কর্তব্যরত শিক্ষকরা জানান, ছাত্রলীগ নেতা পারভেজের স্ত্রী ইসা। তিনি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের মান উন্নয়ন পরীক্ষার্থী। তিনি পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী হওয়ায় তাঁর কেন্দ্র সরকারি মহিলা কলেজে। দুপুর ১টায় পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা পর পারভেজ জোরপূর্বক পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর কলা ভবনের তিন তলায় ১০ নম্বর কক্ষে স্ত্রীর কাছে নকল সরবরাহ করেন। এ সময় শিক্ষকরা বাধা দিলে পারভেজ ও তাঁর সহযোগী সোহেল শিক্ষকদের গালাগাল করেন। একপর্যায়ে মনিরুল ইসলাম মাসুদসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় অধ্যক্ষ ছুটে এলে তাঁকেও গালাগাল করে হুমকি দেন। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পারভেজ নিজেকে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করেন।

এ বিষয় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘এটা দুঃখজনক। আমরা ছাত্রলীগ এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। পারভেজ ছাত্রলীগের কেউ নন। বিবাহিত হওয়ার কারণে কেন্দ্র থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।’

কলেজ শিক্ষক পরিষদের সচিব মেজবাহউদ্দিন সাগর বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ যে ঘটনা ঘটিয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এর আগেও অন্য আরেকটি পরীক্ষার সময় পারভেজ শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছিলেন।’

অধ্যক্ষ মো. জাফর আহমেদ বলেন, ‘ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহল এবং জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের জানানো হবে।’

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি এস এম তারিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকরা লিখিত অভিযোগ দিলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



মন্তব্য চালু নেই