সৌদিতে সমুদ্রের তীরে অশ্লীল নৃত্যের পার্টি করার দায়ে ১১তরুনীকে চাবুক ও কারাদণ্ড!

সৌদি আরবে কঠোরভাবে ইসলামিক আইন মেনে চলা হয়। দেশটিতে মদ্যপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ। নারীদের পুরো শরীর ঢেকে জনস্মুখে আসতে হয়। আর সৌদি শরীয়া আইন অনুযায়ী কোনো সম্পর্ক নেই এমন নারী ও পুরুষের মধ্যে মেলামেশা অবৈধ।

তবে এই আইন ভেঙ্গে লুকোচুরি করেই মাঝে মধ্যে চলে অশ্লিলতা ,এবার সেই রকম একটি ঘটনা ভাইরাল হয়েছ গনমাধ্যমে।

সমুদ্রের তীরে পার্টি ও মদ্যপানের অভিযোগে সৌদি আরবে ১১ জনকে ৩০০ করে চাবুকের আঘাত এবং এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের মধ্যে ছয়জন নারী এবং বাকি পাঁচজন পুরুষ। সৌদি আরবের জেদ্দায় এ ঘটনা ঘটেছে।

সূত্রে জানা যায়, জেদ্দা শহরের সমুদ্রতীরের কাছের এক বাড়িতে পার্টি আয়োজন করা হয়। পার্টির কারণে বিরক্ত প্রতিবেশীরা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ পার্টিতে হানা দিয়ে মদ ও কিছু আপত্তিকর ছবি পায়। এ সময় পার্টিতে থাকা কিছু ব্যক্তি মাতাল ছিলেন এবং পুলিশের গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করেন। প্রাথমিকভাবে পার্টির ছয় নারীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ‘অশ্লীলতার’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

সৌদি আরবের আদালত প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত ১১ জনকে ১৫০টি চাবুকের আঘাত এবং আটদিন থেকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেন। কিন্তু আপিলে হেরে যাওয়ার পর অভিযুক্তদের শাস্তি বেড়ে ৩০০ করে চাবুকের আঘাত এবং প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গত সপ্তাহে কফিশপের চেইন স্টারবার্কসের সৌদি আরব শাখায় নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে দেশটির ধর্মীয় পুলিশ। কফি নিতে ড্রাইভার বা অন্য কাউকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর গতকাল মঙ্গলবার একটি পুতুলের সাজে নারীর অনাবৃত্ত শরীর বোঝানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে সৌদি পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই