সোনার বার আত্মসাৎ মামলায় দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

রাজধানীর রামপুরায় পুলিশের হাতে জব্দকৃত চোরাচালানের সোনর বার আত্মসাতের মামলার আসামি সোনা বহনকারী গাড়ির চালক সুমির কুমার বিশ্বাস এবং বহনকারী মো. মাহিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুনানি গ্রহণ করছেন মামলার বাদী এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায়।

সোমবার দুপুর ১২টায় এ মামলায় মুঞ্জুরকৃত দুই দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনের শুনানি শুরু হয়। দুদকের উপ পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগের তদন্তে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ১৪ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পুলিশের এক সহকারী কমিশনারসহ (এসি) একাধিক কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। জড়িত ওইসব কর্মকর্তাদের সম্পর্কে তথ্য যাচাই বাছাই করতে এ ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

দুদক সূত্র আরো জানায়, জব্দ করা সোনা ও চোরাকারবারিদের ছাড়াতে পুলিশের এক এসি তদবির করেছিলেন। এমনকি নিজ কক্ষে থানার ওসিকে ডেকে এনে সোনা চোরাকারবারিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। সোনা চোরাকারবারিদের বাঁচাতে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের আরো একাধিক কর্মকর্তা চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ এসেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ রাতে রামপুরাস্থ ব্যাংক কলোনীর বালুর মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে ২৩৫টি সোনার বারসহ একটি প্রাইভেটকার আটক করে রামপুরা থানা পুলিশ। আটকৃত প্রাইভেটকারটি থানায় নিয়ে আসার পর এসআই মুনজারুল আলম, পুলিশ কনস্টেবল ওহিদ এবং আকাশ পুলিশ সোর্স রনির সহযোগিতায় ১৪৯টি সোনার বার সরিয়ে ফেলে।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তত্কালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা ও ওসি (তদন্ত) নাসিম আহমেদকে থানা থেকে ক্লোজড করে ডিএমপি। তখনো কেউ জানত না সোনার বার সরিয়ে ফেলার সাথে পুলিশের অন্য সদস্যরা জড়িত।

পরবর্তীতে বিষয়টির তদন্তে আসে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর বেরিয়ে আসে প্রাইভেটকার থেকে সোনার বার সরানো তিন পুলিশ সদস্যের নাম। তাদের আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। অবশেষে ১ এপ্রিল বিভিন্ন স্থান থেকে ১৪৯টি সোনার বার উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই