সোনামনির স্কুল পথের সঙ্গী

সময়টা এখন ভ্যাপসা গরমের দখলে। রোদের ঝলকানি তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ঝরিয়ে দেয় ঘাম। গরমের কষ্টে মেঘের মন ভারি হলেই দুয়েক ফোঁটা বৃষ্টি না ঝরিয়ে রক্ষা নেই। ঘামঝরা রোদে পুড়ে আবার ছিচকাদুনে বৃষ্টিতে ভিজে স্কুলে যাওয়া সোনামনির অবস্থা হয় বেগতিক। সবকিছু মিলে সর্দি-জ্বর, কাশি, অ্যালার্জির ধকলসহ নানা রোগে আক্রমণ করে। তবে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আসার পথে কিংবা কোথাও বেড়াতে গেলে শিশুর রক্ষার্থে চাই উপযুক্ত একটি ছাতা বা রেইনকোর্ট। তাহলে আর রোদে পোড়ার ভয় থাকবে না, বৃষ্টিতে ভেজার ঝামেলাও থাকবে না।

শিশুদের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে তৈরি করা হচ্ছে বাহারি রঙের-ঢঙের ছাতা। শিশুর ছাতার জগৎ এখন পুরোটাই রঙিন। রঙ ছাড়াও এগুলোর ডিজাইনে আনা হয়েছে শিশুদের পছন্দের নানারকম কার্টুন চিত্র। বাবা-মা শিশুদের নিজের ছাতার নিচে রেখেও রাস্তা পাড়ি দেন। কিন্তু তাতে সোনামনিকে পুরোপুরি রক্ষা করা সম্ভব হয় না। কিছুদুর যাওয়ার পর ভিজতেই হয় বা রোদের সময় পুড়তেই হয়। শিশু স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তার হাতে একটি ছোট ছাতা ধরিয়ে দিলে সে সহজেই তা বহন করতে পারবে। রোদে পোড়া বা ভেজার আশঙ্কাও অনেকটা কম থাকবে।

শিশুদের জন্য দেশি ছাতার পাশাপাশি বিদেশী ছাতার চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। ছাতার কাপড়ে রয়েছে পলিয়েস্টার ও ভারী সুতি কাপড়। শিশুদের জন্য রয়েছে ফুলের নকশা করা লম্বা শিকের ছাতা। এগুলোর হাতে ধরার অংশটুকু গোল বা বাঁকনো। এ ছাড়াও দুই ভাঁজ কিংবা তিন ভাঁজ করা ছাতাগুলোর মধ্যে রয়েছে মিকিমাউস, ক্যাসপার, পোসেসন ইত্যাদি। এসব ছাতায় হাতলের অংশে থাকে ফিতা। ফিতার মাথায় আবার বাঁশিও থাকতে পারে। প্রয়োজনের কথা না বুঝলেও পছন্দের এসব ছাতার সৌন্দর্যে বাচ্চারা এমনিই পুলকিত হয়। আর এগুলো খুব সহজেই শিশুদের স্কুল ব্যাগে রাখা যায়। শিশুদের জন্য টিপ ছাতাগুলো বেশ সুবিধাজনক। কারণ এগুলো গুছিয়ে রাখার ঝামেলা কম। ফলে শিশুরা সহজে ব্যবহার করতে পারে। তবে শিশুদের জন্য যে ছাতাই কিনুন না কেন তা কম চওড়া, সাইজে ছোট এবং সহজে বহন করা যায় এমন হওয়া উচিৎ।

বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে শিশুদের জন্য রেইনকোটই বেশি কর্যকর। কারণ রেইনকোটে শিশুর পুরো শরীরটাই ঢেকে থাকে। বহন করারও বাড়তি ঝামেলা নেই। বাজারে বড়দের পাশাপাশি ছোটদের জন্যও নানা ডিজাইনের বাহারি রেইনকোট পাওয়া যায়। যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। বাজারে দুই ধরনের রেইনকোট পাওয়া যায়। প্লাস্টিকের এবং প্যারাসুট কাপড়ের। প্লাস্টিকেরগুলো সাধারণত বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এগুলো যথেষ্ট ফ্যাশনেবলও। আর এই রেইনকোটগুলোতে পিঠের দিকে ব্যাগ এঁটে যাওয়ার জন্য বাড়তি জায়গা থাকে। যা শিশুদের স্কুলে যাওয়া-আসার জন্য বেশ সুবিধাজনক।

নিউ মার্কেট, নবাবপুর, চকবাজার, এলিফেন্ট রোড, বায়তুল মোকাররম, গুলিস্তান, মৌচাক মার্কেট ছাড়াও শিশুদের জন্য নজরকাড়া ডিজাইনের ছাতা, রেইনকোট, রয়েছে বড় বড় শপিং মলগুলোতেও। তবে ছোটদের ছাতা আগোরা, মীনাবাজার, ফ্যামিলি নিডসসহ বিভিন্ন চেইনশপে আকর্ষণীয় ডিজাইনের পাওয়া যায়। ভাঁজ করা ছাতা পাওয়া যাবে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, বাইরে রঙিন ভেতরে রূপালী প্রলেপ দেয়া ডাভ কোম্পানির ছাতা পাওয়া যাবে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, শিশুদের চায়নার রঙিন ছাতা ১০০ থেকে ৩০০ টাকায়। শিশুদের প্যারাসুট কাপড়ের রেইনকোটের দাম পড়বে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এ ছাড়াও থাইল্যান্ড, কোরিয়া ও চায়নার তৈরি ছোটদের রেইনকোট রয়েছে। থাইল্যান্ডের রেইনকোটগুলোর দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, কোরিয়ার ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চায়ানার রেইনকোট পাওয়া যাবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। আর শিশুদের জন্য প্লাস্টিকের নানা ডিজাইনের জুতা-স্যান্ডেল পাওয়া যাবে ১০০ থেকে ৩০০ টাকায়।



মন্তব্য চালু নেই