সেরা ডিজাইনারের ফিচার ফোন

পৃথিবীর প্রভাবশালী শিল্প ডিজাইনারদের মধ্যে মার্ক নিউসন অন্যতম। বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপেলেও কাজ করেছেন তিনি। অ্যাপেল ওয়াচের ডিজাইনার তিনি। আসবাবপত্র থেকে শুরু করে এয়ারক্রাফট কেবিনের ডিজাইনও করেছেন নিউসন। তার সব ডিজাইনেই নিজের স্বাক্ষর।

জনি ইভ ছিলেন অ্যাপেলে কর্মরত অবস্থায় তার সহকর্মী। এখনও নিউসন তার সময়ের ৬০ শতাংশ ব্যয় করেন অ্যাপেল প্রতিষ্ঠানে। তিনি কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকসের ওপর পূর্বে তেমন কোন কাজ করেন নি। তবে তিনি ডিজাইন করেছেন এমন একটি ফোন যে ফোনের নাম টালবাই।

২০০৪ সালে জাপানের সেনইয়ো প্রতিষ্ঠান মোবাইলটি উৎপাদন করে। তখনকার সময়ে সেরা আকর্ষণীয় মোবাইলগুলোর মধ্যে এই ফোনটি অন্যতম ছিল।

ফোনটির পেছনের অংশটি রুপালি এবং সামনের অংশের চেয়ে কিছুটা বাঁকানো। ফোনটির কালো অংশটিতে ছিল ব্যাটারি, স্পিকার এবং ক্যামেরা। নিউসন বলেছেন,‘১৩ মিলিমিটারের এই ফোনটি তখনকার সময়ে সবচে পাতলা ফোন ছিল এবং স্যান্ডউইচের আকারে ডিজাইন করা ফোনটি ডান দিক থেকে দেখলে পেছনের অংশ দেখা যাবে না।’

ফোনটি বের হওয়ার পর জাপানে প্রযুক্তিগত ভাবে কোন পরিবর্তন সাধিত হয় নি। ফোনটিতে ছিল ২৪০ x ৩২০ এলসিডি ডিসপ্লের। এতে ছিল একটি ভিজিএ ব্যাক ক্যামেরা। তখনকার সময়ে ফোনটির ক্যামেরাতে একটি মাইক্রো সুইচ ছিল যা দিয়ে কিউ আর কোড স্ক্যান করা যেত। ক্যামেরা সুইচটি ক্যামেরা লেন্সের কাছাকাছি ছিল।

শুধু মাত্র রুপালি রঙে ফোনটি পাওয়া যেত। ফোনটির কি-প্যাডের রঙ ছিল কালো। নিউসন নিজেই ফোনটির ব্যবহারকারীর ইন্টারফেস তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তবে সময়ের অভাবে তিনি তা করতে পারেননি।

টালবাই তখনকার সময়ে একটি আইকন ফোন ছিল। তবে নিউসন নতুন কোন ফোন ডিজাইনে আর মনোনিবেশ করতে পারেননি।

তবে হতে পারে আইফোন ওয়াচ ডিজাইনের পর অ্যাপেলের নতুন কোন ফোন আসতে পারে মার্ক নিউসনের ডিজাইনে।



মন্তব্য চালু নেই