সেনাবাহিনী হবে ছাগল!

অকর্ম আর অথর্ব প্রকৃতির লোককে ‘ছাগল’ বলে গালি দেয়া হয়। অলস, মেধাহীনদেরও আখ্যায়িত করা হয় একই নামে। তবে এবার নিজের নামের এ কলঙ্ক ঘোচালো একটি ছাগল। যুক্তরাজ্য সেনাবাহিনীর রাজকীয় ওয়ালেশ রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটেলিয়নে যোগ দিয়েছে সে।

দেশটির রাজকীয় পশুপালন কেন্দ্র থেকে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ‘ফুসিলিয়ার লিওয়েলিন’ নামের ওই ছাগলটিকে। এখন থেকে যুক্তরাজ্যের উইল্টশায়ারের লখনৌ সেনাঘাঁটিতে বাস করবে লিওয়েলিন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সেনাদের সাথে দায়িত্ব পালন করবে।

গত বছরের মে মাসে দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নে থাকা আরেকটি ছাগল ল্যান্স কর্পোরাল জি উইলিয়ামের মৃত্যুর পর তার একই দায়িত্বে নিয়োগ দেয়া হলো লিওয়েলিনকে।

এর আগে ছাগল বিভাগের মেজর ফুসিলিয়ার ম্যাথিউ আউনের অধীনে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষ করে সে। ১৮৮৯ সালে সংঘটিত যুদ্ধ ‘ব্যাটেল অব রকস ড্রিফট’ এর সেনাদের স্মরণে একটি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রথমবারের নেতৃত্ব দেবে লিওয়েলিন।

সেনাবহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুরুহ এক জরিপ শেষে রাজকীয় পশুপালনকেন্দ্র থেকে নির্বাচন করা হয়েছে এই ছাগটিকে। এটি দেখতে অন্যান্য ছাগলের চেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় মনে হওয়ায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এটিকেই পছন্দ করা হয়েছে।

প্রতিদিন এটিকে ছাগল বিভাগের প্রধানের অধীনে ব্যায়াম করানো হবে, এর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হবে এবং এটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সেনা-সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এর আগে ছাগলটিকে লন্ডনে ব্রিটিশ রানীর জন্মদিনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো।

১৮৪৪ সালে প্রথম রাজকীয় ছাগল প্রথা চালু করে রানী ভিক্টোরিয়া। তবে ধারণা করা হয়, দেশটির সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজে ১৭০০ সাল থেকেই পশুদের অংশগ্রহণ শুরু হয়।



মন্তব্য চালু নেই