সেই সোনালী আঁশ পাট এখন কৃষকদের গলার ফাঁস হয়ে দাড়িয়েছে

ব্যাপক প্রশিক্ষণ,বিনা মুল্যে বীজ বিতরণ সহ নানা বিধ পদক্ষেপ নিয়েও এবারের মৌসূমে সাতক্ষীরা জেলায় পাটের আশানুরুপ ফলন হয়নি। ফলন বেশী না হওয়ার জন্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দুষছেন প্রচন্ড খরতাপ ও অতি বর্র্ষন কে। ফলন কম , বাজার মূল্য ও কম থাকার কারনে সোনালী আঁশ চাষীদের গলার ফাশ হয়ে দাড়িয়েছে।

জেলা কৃর্ষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি থেকে জানা যায়, এবারের মৌসূমে জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৫ শ’ ৮৪ হেক্টর । অর্জিত হয়েছে ১০ হাজার ৬ শ’২ হেক্টর । জেলায় এবারের মৌসূমে পাটের ফলন বেশী করার লক্ষে কৃর্ষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় ঢাকা আহসানিয়া মিশন কৃষি সম্প্রারণ প্রকল্পের অধীনে ১৪৭টি গ্র“পে ৭৩৫টি ব্যাজে মোট ৫ হাজার ৬ শত ৩৫ জন চাষীকে ভাল পাট উৎপাদন,কৃষকের সক্ষমতা বৃর্দ্ধি ও গুনগত উৎপাদন সর্ম্পকে বাস্তব মুখি প্রশিক্ষণ প্রদান করে।

এছাড়া বাংলাদেশ পাট মন্ত্রনালয় থেকে তালা ও কলারোয়া উপজেলার ১০০ জন করে মোট ২ শ জন কৃষককে জন প্রতি২.৩২৫ কেজি ০৯৮৯৭ জাতের পাট বীজ বিনা মূল্যে বিতরণ করে। যা ছিল নিঃসন্দেহে পাট চাষের জন্য একটি ভাল দিক। কিন্ত পাটের বীজ বপন করার পর পরই প্রচন্ড খরতাপ এবং গত মে মাস থেকে অবিরাম বর্ষনের কারনে পাটের আশানুরুপ ফলন হয়নি।

ইতোমধ্যে বাজারে পাট আসতে শুরু করেছে । কৃষকেরা প্রতি মন পাট বিক্রি করছেন ১৫০০ থেকে ১৫২০ টাকা দরে। কিন্তু পাটের এ মূল্য বেশী দিন থাকবে না। ব্যাপক ভাবে পাট আসা শুরু করলে দাম কমে যাবে। আগামী ১ থেকে ২ সপ্তাহ পর পাটের মূল্য নেমে আসবে ১ হাজার থেকে ১২শ’টাকায়।

কৃর্ষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায় এবারে জেলায় বিঘা প্রতি পাট উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্র ধরা হয়েছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ মন। কিন্তু চাষীরা বলছেন অন্য কথা । তার জানান ,পাটের এবারে যে অবস্থা তাতে বিঘা প্রতি পাট উৎপাদন হচ্ছে ৬ থেকে ৭ মান। পাটের জমিচাষ করা থেকে সেচ,সার,কীটনাশক,নিংড়ানো,কাটা, ধোয়া শুকানো সহ বিভিন্ন কাজে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা।।

হিসাবে দেখা যায় বিঘা প্রতি চাষীরা দাম পাচ্ছেন ৭ হাজার ২ শ’ থেকে ৮ হাজার টাকা। এতে করে চাষীদের লাভ দুরের কথা লোকসান হচ্ছে প্রায় ৭ হাজার ৮ শ’ থেকে ৮ হাজার ৮ শ’ টাকা। অন্য দিকে যে সমস্ত কৃষকেরা পাট ব্যবসায়ী দের কাছ থেকে দাদন নিয়ে পাট চাষ করেছেন তাদের অবস্থা আরো ভয়াবহ। তাদের পাট বিক্রি করতে গেলে বাজার দরের চেয়ে ২ শ’ থেকে ৩ শ’ টাকা কম নিতে হচ্ছে।

পাট চাষীদের ব্যাপক লোকশনের হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরাসরি কৃষকদের কাছ ন্যার্য্য মূলে পাট ক্রয় করার জন্য বর্তমান কৃর্ষি বান্ধব সরকারের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন সাতক্ষীরার হাজারো পাট চাষী গণ।



মন্তব্য চালু নেই